তুমব্রু সীমান্তে ফের মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপ, নিহত ১ আহত ৫
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তে দুটি মর্টারশেল নিক্ষেপ করেছে মিয়ানমার। এ ঘটনায় প্রাণ গেছে মো. ইকবাল (১৭) নামে এক যুবকের। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন ৫ জন রোহিঙ্গা। তাদের গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে।
এ ঘটনার পর আতঙ্কে জিরো লাইনের রোহিঙ্গা শিবিরের রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের ভূখন্ডে আশ্রয় নিয়েছে। আতঙ্কে বন্ধ করা দেওয়া হয় তুমব্রু বাজারের দোকানপাট। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত ) সীমান্তে গোলাগুলি শব্দ শোনা যাচ্ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। বিজিবি সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বাড়িয়েছে টহল দল।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু কোনারপাড়া এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মর্টাল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
নিহত ইকবাল শূন্যরেখা রোহিঙ্গা শিবিরের খোনার পাড়া এলাকার মনির আহম্মদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ৪ দিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার টানা দুদিন ধরে প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজে তুমব্রু বাজার ও আশপাশের এলাকা কেঁপে উঠছিল। ঠিক এ পরিস্থিতে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় পরপর ২টি মর্টারশেল এসে পড়ে মিয়ানমারের ভূখণ্ড থেকে। যার একটি পড়ে স্থানীয় কোনারপাড়ার বাসিন্দা শাহ আলম ড্রাইভারের বাড়ির পাশে। অপর একটি মর্টারশেল এসে পড়ে শূন্যরেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ইকবাল ঘটনাস্থলেই মারা যান।স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তুমব্রু এলাকার সংবাদকর্মী নুর মোহাম্মদ সিকদার ও মাহামুদুল হাসান জানান, সকাল থেকেই তীব্র গোলাগুলি হওয়ায় তারা এমনিই আতঙ্কে আছেন। তার মধ্যে রাতে মর্টার শেল এসে পড়ায় লোকজন ছুটোছুটি করছে। অনেকে নিরাপদে আশ্রয় নিচ্ছে।
জিরো লাইনের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের(মাঝি) দিল মোহাম্মদ জানিয়েছেন দুপুরে মাইন্ড বিস্ফোরণে সীমান্তে এক যুবক আহত হওয়ার পর রাত সাড়ে আটটার দিকে ৩৪ নং পিলারের কাছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি গোলা এসে পড়ে। পরে আরো তিনটি গোলা সেখানে পড়ে। এদের মধ্যে একটি বিস্ফোরিত হয়ে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়।
এদিকে, বাংলাদেশ সীমান্তের বেশ কাছাকাছি এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমানকে টহল দিতে দেখা গেছে। তবে বিমানগুলো বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়েছে এমন খবর পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ।তিনি বলেন, আজ রাতে এই ঘটনা ঘটে। এতে মো. ইকবাল নামে একজন মারা গেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৫ জন রোহিঙ্গা।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস জানিয়েছেন সীমান্ত পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার পর সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি।
এর আগে শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের চাকমারপাড়া এলাকায় মিয়ানমারের মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশী এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে। বিস্ফোরণে ওই যুবকের পা উড়ে গেছে। তাকেও গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয় কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
মিয়ানমারের মাইন বিস্ফোরণে পা হারানো ওই যুবকের নাম অথাইন তঞ্চঙ্গ্যা (২২)। সে তুমব্রু হেডম্যান পাড়ার অংক্যথাইন তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে।
মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে স্থানীয় যুবকের পা উড়ে গেছে – CTG SANGBAD24
তুমব্রু সীমান্তে কাটছেনা মিয়ানমার আতঙ্ক – CTG SANGBAD24
বাংলাদেশে ছোড়া মিয়ানমারের মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনী – CTG SANGBAD24
বাংলাদেশে মর্টারশেল নিক্ষেপ করেছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী – CTG SANGBAD24