আনোয়ারার হাইব্রিড হেলালসহ চার অনুসারীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি

আগে কোনে দলীয় পদ পদবী না থাকলেও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র এক নেতার সুপারিশে হঠাৎ করে দলীয় পদে আসীন হয়ে একের পর এক শঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য আনোয়ারা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন এবং তার ৪ অনুসারীকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত আলাদা আলাদা ৫টি চিঠিতে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়। এতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত হাইব্রিড হেলালের অন্য চার অনুসারীরা হলেন, আনোয়ারা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব গাজী মোঃ ফোরকান, আনোয়ারা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জিয়াউল কাদের জিয়া, ছাত্রদল নেতা ইসমাইল বিন মনির ও মোঃ হাসান।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ অক্টোবর নগরের নিউ মার্কেটস্থ দোস্ত বিল্ডিংস্থ দক্ষিণ জেলা বিএনপির একটি সভা শেষে ফেরার পথে সংগঠনের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির চৌধুরী আনসার এবং দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম খোকার উপর অতর্কিত হামলা চালান হেলালের অনুসারীরা। এতে দুই নেতা গুরুতরভাবে আহত হয়। দলীয় নেতাদের ওপর হামলার দায়ে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয় বলে দলীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ‘কালা হেলাল’ এ ঘটনার জন্য দায়ী। এই হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে চট্টগ্রামের আলোচিত বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন অপহরণ ও হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে হেলাল ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন অপহরণের ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছিলেন বলেও দলীয় নেতা কর্মীদের দাবি।

ঘটনার পর থেকে হেলাল এবং তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে ঝাড়– মিছিল এবং বহিষ্কার চেয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা নানা কর্মসূচী পালন করেছে। তৃণমূলের দাবির প্রেক্ষিতে তড়িঘড়ি করেই কেন্দ্র থেকে এ সিন্ধান্ত নেয়া হয়।

এদিকে বিশেষ সুবিধা নিয়ে হেলালকে আনোয়ারা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব করার অভিযোগ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি আহবায়ক আবু সুফিয়ান ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদের বিরুদ্ধে।