সংকেত সংস্থার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অর্ধশত প্রতিবন্ধী পেল আর্থিক সহায়তা

মিরসরাই উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আবুরহাট বাজারে ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সংকেত সংস্থা। সংস্থার পথচলার ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অর্ধশত প্রতিবন্ধীকে দেওয়া হয় আর্থিক সহায়তা। আর্থিক সহায়তা পেয়ে মুখে হাসি ফুটেছে প্রতিবন্ধী মিরাজ হোসেন, সোহান, শাওন, জেসমিন ও বিবি রহিমাদের। আজ রবিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে সংস্থার কার্যালয়ে প্রতিবন্ধীদের মাঝে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিলের। এসময় সংস্থার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা পংকজ লাল ভৌমিকের সভাপতিত্বে এবং সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কাটাছরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সংকেত সংস্থার উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি এডভোকেট আলীউল কবির ইকবাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের অভিভাবক সদস্য মাঈন উদ্দিন মনি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মিরসরাই উপজেলা জেটেবের সদস্য এবং সংস্থার সদস্য আনোয়ার আজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান, ক্রীড়া সম্পাদক এনায়েত উল্ল্যাহ, সদস্য সচিব শাহজাহান কবির, সমাজসেবক মোহাম্মদ ঈশা। সবশেষে সংস্থার সদস্য, দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ নজরুল ইসলাম।

সংকেত সংস্থার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা পংকজ লাল ভৌমিক বলেন, সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা সামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারবাহিকতায় রবিবার সকালে ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সংস্থার পাশ্ববর্তী ২ টি ইউনিয়নের ৮ গ্রামের অসহায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়। আগামীর দিনগুলোতেও আমাদের সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ডের এই ধারা অব্যাহত রাখবো।

কাটাছরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সংকেত সংস্থার উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি এডভোকেট আলীউল কবির ইকবাল জানান, ১৯৭৮ সালের ৫ জানুয়ারী সংগঠন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে সাহিত্য, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও সামাজিক কার্যক্রম ছাড়াও বৃক্ষরোপণ, খাল খনন, সড়ক সংস্কার, মাদক ও যৌতুকবিরোধী কর্মসূচি, নৈশ বিদ্যালয় চালুকরণ ও পরিচালনা, চক্ষু শিবির, শিক্ষা উপকরণ বিতরণসহ সামাজিক ও মানবিক কাজের মধ্যদিয়ে মানুষের কল্যাণে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনের সদস্যরা। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বয়ে যাওয়া স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে কয়েক ধাপে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ছাড়াও গত বছরের ১৭ নভেম্বর চাল বিতরণ, ১৯ ডিসেম্বর শীতবস্ত্র বিতরণ ও সর্বশেষ চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি শতাধিক মানুষের মাঝে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

আরও পড়ুন