কক্সবাজার রুটের উদ্বোধনী ট্রেন চালালেন পটিয়ার সাজু দাশ

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে রেলের যাত্রার উদ্বোধনী দিন ছিল গতকাল ১১ নভেম্বর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে রেলপথের উদ্বোধন করেন। পরে কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে ২৬ মিনিটে কক্সবাজার থেকে রামু পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে বেলা ১টা ২৮ মিনিটে কক্সবাজার স্টেশন থেকে ট্রেনটি রামুর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বেলা ১টা ৫৪ মিনিটে ট্রেনটি রামু স্টেশনে পৌঁছায়। ২৬ মিনিটের ট্রেন যাত্রায় অন্য বগিতে থাকা যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনী এই ট্রেনের চালকের আসনে ছিলেন চট্টগ্রামের পটিয়ার সন্তান সাজু দাশ। দক্ষ ও সাহসী এ ট্রেন চালককে গতকাল টিভির পর্দায় দেখে পটিয়ার মানুষ তার প্রশংসায় ভাসছেন। তার বাড়িতে অনেকেই মিষ্টি নিয়ে গেছেন। অনেকেই তার পরিবারের সাথে কুশল বিনিময় করেছেন।

পটিয়ার সন্তান সাজু দাশ উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ৩ং ওয়ার্ডের বাদল দাশের বাড়ির রেলের অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা বাপন দাশের সন্তান। তার মা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী হিসাবে কর্মরত ছিলেন, বর্তমানে তিনি অবসরে।

সাজু দাশের মা কৃষ্ণা দাশ জানান, সাজু ১৯৯৫ সালে পটিয়ার চক্রশালা উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি এবং বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিউিট থেকে ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে ২০০৪ সালে লোকোমাস্টার হিসাবে বাংলাদেশ রেলওয়েতে যোগদান করেন। দক্ষ চালক হিসেবে রেলওয়েতে তার প্রচুর নাম-ডাক রয়েছে।

উদ্বোধনী ট্রেনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পটিয়ার সাংসদ সামশুল হক চেীধুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীও।

ট্রেন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের বলেন, “মানুষের কল্যাণে কাজ করব এর চেয়ে আনন্দের আর কিছু নেই। দীর্ঘদিনের দাবি ছিল কক্সবাজার রেলপথ। কক্সবাজারের আমাদের দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত আছে। অথচ পর্যটনকেন্দ্রটা ভালোভাবে গড়ে তুলতে পারিনি।

পটিয়া উপজেলা যুবলীগের সদস্য সুশীল দেবনাথ বলেন, আমরা গর্বিত আমাদের পটিয়ার সন্তান চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেললাইন উদ্ধোধনে চালক হিসাবে কর্মরত থাকায়। আমরা ভবিষৎ তার সফলতা কামনা করি।

আরও পড়ুন