দোহাজারীতে অজগর ও বিপন্ন প্রজাতির সোনা গুইসাপ উদ্ধার, পরে বনে অবমুক্ত

পাহাড়ি ঢলে ভেসে আসা ১২ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১২ আগস্ট) বিকালে সাতকানিয়া উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের সাধুর দোকান এলাকা থেকে অজগর সাপটি উদ্ধার করা হয়।

অপরদিকে একই দিন বিকালে দোহাজারী পৌরসভার কিল্লাপাড়া এলাকা থেকে বিপন্নের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকা একটি সোনা গুইসাপ উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, শনিবার বিকালে ধর্মপুর ইউনিয়নের সাধুর দোকান এলাকায় অজগর সাপটি চলাচলরত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা দোহাজারী রেঞ্জ কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। সংবাদ পেয়ে ধোপাছড়ি বিট কর্মকর্তা মো. মোহসিনের নেতৃত্বে পরিবেশ কর্মী জাপা নেতা একেএম বাদশা অজগরটিকে বস্তাবন্দী করে দোহাজারী রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসেন। অপরদিকে একই দিন বিকালে দোহাজারী পৌরসভার কিল্লাপাড়া এলাকায় স্থানীয় সিএনজি চালক শহিদের পালিত মুরগির বাচ্চা খাওয়ার সময় বিপন্নের তালিকায় থাকা একটি সোনা গুইসাপ আটক করেন তিনি। পরে দোহাজারী রেঞ্জ অফিসে খবর দিলে পরিবেশ কর্মী জাপা নেতা একেএম বাদশা গুইসাপটি বস্তাবন্ধী করে রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যান।

পরে স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানা রাজু, এনজিও কর্মী আহ্ছানিয়া মিশন প্রতিনিধি লাভলী আক্তার, আ.লীগ নেতা জামাল মিয়া, সমাজসেবক ফারুক সহ স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের সম্মুখে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন লালুটিয়া বিটের চিরিংঘাটা ব্লকের গহিন বনে অজগর ও গুইসাপটি অবমুক্ত করা হয়।

এব্যাপারে দোহাজারী রেঞ্জ কর্মকর্তা সিকদার আতিকুর রহমান বলেন, বন্যার পানিতে ভেসে আসা অজগর ও গুইসাপটি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়লে স্থানীয় লোকজন বন বিভাগকে খবর দেন। পরে তা উদ্ধার করে গহিন বনে অবমুক্ত করা হয়। ভারতের রক প্রজাতির অজগরটি ১২ ফুট লম্বা এবং ওজনে প্রায় ৩০ কেজি হবে। বিপন্নের তালিকায় থাকা সোনা গুইসাপ জঙ্গলের জন্য এবং পরিবেশের জন্য উপকারীতা অনেক বেশি।

আরও পড়ুন