বাঁশখালীতে পারিবারিকে বিরোধে কৃষক খুন

বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের দক্ষিণ সরলের হাজিরখীল গ্রামে পুর্ব শত্রুতার জেরে হামিদ উল্লাহ (৪২) নামের এক কৃষক খুন হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে তার স্ত্রী মরতুজা বেগম (২৮)। মরতুজাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত হামিদ উল্লাহ প্রকাশ কালু ওই এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাহফুজের ছেলে।

২০১৯ সালে ক্রস ফায়ারে নিহত ডাকাত জাফর আহমদ প্রকাশ জাফর মেম্বার ও ডাকাত মো. খলিলের ছেলেরা এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। নিহত কৃষকের সাথে তাদের দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমির বিরোধ ছিল। জায়গার দালালির ভাগভাটোয়ারা, পারস্পরিক মামলা মোকদ্দামার বিরোধ এবং র‌্যাবের ক্রয় ফায়ারে নিহতের ঘটনাসহ বিভিন্ন ধরণের বিরোধের কাহিনী প্রকাশ্যে প্রচার রয়েছে। এছাড়া ক্রস ফায়ারে নিহত ডাকাত জাফর আহম্মদ প্রকাশ জাফর মেম্বারের স্ত্রী রহিমা আক্তার বর্তমানে সরল ইউনিয়নের (১, ২ ও ৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের) ইউপি সদস্য।

ঘটনস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নিহত হামিদ উল্লাহ (৪২)’র স্বজনরা শোকে আত্মবিলাপ করছে। ওইসময় তার বোন জোহরা বেগম দাবী করেন, আমার ভাই গত শুক্রবার (৫ মে) দোয়া দরুদ পড়ে বেড়ার তৈরী নতুন বাড়ি করে ঘরে ওঠেছে। ওই ঘরেই রাতে ৭/৮ জন সন্ত্রাসী কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ ছিন্নভিন্ন করে আমার ভাইকে জবাই করে হত্যা করেছে। ২০১৯ সালে ডাকাত জাফর ও খলিল র‌্যাবের ক্রস ফায়ারে নিহত হয়। এরপর থেকে ওদের ছেলে মো. মোরশেদ (২৮), মো. মিনহাজ (২০), এহসান(২৮), মো. মুনাফ (৩৫)সহ অনেকে দীর্ঘদিন ধরে হাটতে বসতে হুমকি দিয়ে আসছিল আমার ভাই মো. হামিদকে। সেই ঘটনার রেশ ধরে আমার ভাইকে র‌্যাবের সোর্স মনে করে হত্যা করেছে।

এ ঘটনায় জাফরের স্ত্রী ইউপি সদস্য রহিমা আক্তার বলেন, রাতে আমার ছেলে মোরশেদ বাড়িতে ঘুমে ছিল। আমার ছেলে খুন করেনি। তবে হামিদের সাথে আমাদের জায়গা জমির বিরোধ আছে। কারা খুন করেছে জানি না।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন জায়গা জমির বিরোধ এবং র‌্যাবের ক্রস ফায়ারে ডাকাত নিহতের ঘটনার র্সোস সন্দেহে হামিদ উল্লাহ খুন হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে ওঠে এসেছে। তবে পুলিশ ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। খুনিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।

আরও পড়ুন