পুলিশী হামলায় সীতাকুন্ড যুবদলের ঈদ পুনর্মিলনী পন্ড হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।এসময় ব্যাপক লাঠিচার্জ করে ৫টি মোটরসাইকেলসহ ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাড়বকুণ্ড সাগর উপকূলীয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা যুবদলের আহব্বায়ক ফজলুল করিম চৌধুরী প্রতিনিধি জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সীতাকুণ্ড যুবদলের নেতাকর্মিদের ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল থেকে নেতাকর্মিরা অনুষ্ঠানে আসতে থাকে। বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান সাজানো হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো আলোচনা সভা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যাফেল ড্র, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও মধ্যহ্ন ভোজের আয়োজন।
ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠানে যুবদলের দাওয়াতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও সহযোগী সংগঠন সীতাকুণ্ড উপজেলা ও পৌরসভার নেতাকর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।
সীতাকুণ্ড পৌরসভা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাহের উদ্দীন আশরাফের পরিচালনায় ও সীতাকুণ্ড উপজেলা যুবদলের আআহবায়ক ফজলুল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিেনপির আহবাযক ডাঃ কমল কদর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য জহুর আলম জহুর, সীতাকুণ্ড উপজেলা সাবেক নারী ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার চৌধুরী নেলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী মো: সুজা উদ্দীন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা দিদার মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুব দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আওরঙ্গজেব মোস্তফা, উপজেলা যুব সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শাহাব উদ্দীন রাজু, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি মো: ইসমাইল, আবু সিদ্দিক বাল্লা, সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মহরম আলী, জাহাঙ্গীর আলম, মোস্তাফিজুর রহমান হিরু, সৈয়দ আনোয়ারুর আজীম মুকুল, বাবু জিতেন্দ্র নারায়ণ নাটু, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব জিয়া উদ্দীন, উপজেলা ছাত্র দলের সদস্য সচিব কোরবান আলী সাহেদ, উপজেলা মৎসজীবী দলের আহবায়ক মো: ইলিয়াস, সীতাকুণ্ড উপজেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব ব্যারিষ্টার সাব্বির মো: শাকিল প্রমুখ।
সীতাকুণ্ড সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার চৌধুরী বলেন, ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আযোজন করা হয়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে যখন মধহ্নভোজে সবাই অংশ নেয় ঠিক তার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ এসে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এসময় লাঠিচার্জ করলে আমি আহত হই। আমাদের অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বললেই হতো আমরা সংক্ষেপ করতাম। কিন্তু অতর্কিত এই ধরনের লাঠিচার্জ আমাকে অবাক করেছে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইন ইনচার্জ (ওসি) মো: তোফায়েল আহমেদ প্রতিনিধি বলেন, আমাদের কাজ থেকে কোন অনুমোদন না নিয়েই তারা ঈদ পূণর্মিলনী করছিল। তাই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি নেতা জহুর আলম জহুর বলেন,এইটা কোনর রাজনৈতিক কর্মসূচী না,আমরা ঈদ পূর্নমিলনী হচ্ছিল। নেতা কর্মীরা রাজনৈতিক মামলা মোকদ্দমার হারিয়ে উঠছিল। একটু বিনোদনে আয়োজন হয়েছিল। আওয়ামী পুলিশ বানচাল করে দিয়েছে। আমাদের কয়েকজনের মোটর সাইকেল সহ ৭/৮ জনকে আটক করে নিয়ে গেছে।