চুয়েটের সাথে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটটের যৌথ গবেষণা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর সাথে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের যৌথ গবেষণা সংক্রান্ত একটি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারী) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সিন্ডিকেট কক্ষে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

উক্ত সমঝোতা স্মারকে চুয়েটের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এবং নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষে মহাপরিচালক এস.এম. আবু হোরায়রা স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে স্বাক্ষর করেন।

চুক্তিতে সাক্ষী হিসেবে চুয়েটের পক্ষে পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার ও পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম এবং নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষে হাইড্রলিক রিসার্চ পরিদপ্তরের পরিচালক পিন্টু কানুনগো ও জিওটেকনিক্যাল রিসার্চ পরিদপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) উমা সাহা স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি স্বাক্ষরকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ.এইচ. রাশেদুল হোসেন, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, গবেষণা ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক এবং নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফাতেমা রোকশানা, উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান, উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ সাহাবুদ্দীন ও উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ আবুল এহছান মিঞা।

চুক্তির আওতায় আগামী পাঁচ বছর চুয়েটের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহ ও ইনস্টিটিউট অব রিভার, হারবার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এবং নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের যৌথ গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ, যৌথ গবেষণাগার ব্যবহার, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার-সিম্পোজিয়াম আয়োজন, বিভিন্ন শর্টকোর্স চালুকরণ, শিক্ষার্থীদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট প্রভৃতি সুবিধা লাভ করবে।

পরে দেশের একমাত্র নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড ও গবেষণার ক্ষেত্র নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান।

আরও পড়ুন