নতুন পত্রিকা কী ভাবছে, কীভাবে ভাবছে, কতটা ভাবছে, টার্গেট কী, কতটাই বা দম?… এসব প্রশ্নের উত্তর মেলে উদ্বোধনী লিড নিউজে। তাই লিড নিয়ে কৌতুহল যেমন সীমাহীন, তেমনি আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় প্রথমদিন থেকেই। অনেকে বলেন, উদ্বোধনী লিড পত্রিকার ব্র্যান্ডভ্যালু যেমন বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ তেমনি পাঠকের বিশ্বাস আর আস্থার জায়গা অনেকটা স্থায়ী করতে পারে।
এক সহকর্মী বললেন, রাজনীতি-নির্বাচনের বাইরে এখনকার উদ্বোধনী লিড হতেই পারে না। রাজনীতির একঘেঁয়ে গল্প ছাড়া পাঠক কি কিছু খায়? গত কয়েক দশকের উদ্বোধনী লিডগুলো তো তাই বলছে। অন্য এক সহকর্মী বললেন, বিষয় তো একটাই, অন্তত বয়ান ভিন্ন হতে পারে!
আরেক সহকর্মীর ভাষ্য, ভারী বিষয় হিসেবে ভূরাজনীতি কিংবা অর্থনৈতিক কূটনীতির আপডেট বয়ান আসতে পারে। আরেকজন বললেন, আসন্ন ‘সরকারের রূপরেখা’ নিয়ে চমকে দেয়া কিছু আসতে পারে।
অন্য এক সহকর্মীর ভাষ্য, গত কয়েক দশকে রাজনীতি কিংবা নির্বাচনের আশা জাগানিয়া, প্রত্যাশা ছড়ানো লিড ছাড়া কিছু দেখা যায়নি। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপট একেবারেই ভিন্ন। অর্থনৈতিক সংকট তীব্র হচ্ছে। বৈশ্বিক রাজনীতি আর সুপারপাওয়ারগুলোর দৃষ্টিবন্দি হয়ে গেছি আমরা। বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা টালমাটাল। এর ওপর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাড়া পত্রিকা আর চলবেই না। সেরকম কিছু বিষয় তো হতে পারে।
বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে আরেকজন বললেন, লিডে কিবা আসে যায়, ভাই! এখনকার পত্রিকা কি আর জনপ্রিয় হওয়ার জন্য প্রকাশ হয়? হিসাব সোজা, নতুন পত্রিকায় আমরা চাকরি বাঁচাই, মালিকেরা ব্যবসা বাঁচায়। লিড যেন মালিককে বাঁচায় সেটাই ভাবেন। তাহলে আমরাও বাঁচবো!
লেখক : নিয়ন মতিয়ুল, গণমাধ্যমকর্মী।
এ লেখকের অন্য লেখা পড়ুন :
সাংবাদিকদের কেন একইসঙ্গে ‘বস্তিজীবন’ আর ‘রাজসিক জীবন?