কুতুবদিয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : প্রয়োজন সতর্কতা ও সচেতনতা
নাজমুল হুদা সাকিব :: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ডুবে মৃত্যুর পাশাপাশি কুতুবদিয়ায় পুকুরে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার দিনদিন বেড়েই চলেছে। বাড়ীর পাশে খেলাধূলা করার সময় পরিবারের বড়দের অজান্তে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। এতে কুতুবদিয়ায় একধরণের আতঙ্কও বিরাজ করছে সচেতন মহলে। গ্রামের সন্তানদের মধ্যে সাঁতার না জানার প্রবণতাও অনেকাংশে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর জন্য দায়ী। তবে শিশু মৃত্যুর বয়স লক্ষ্য করলে দেখা যায় দেড়/দুই বছর বয়স থেকে ৮/৯ বছর বয়সী শিশুরাই মারা গেছেন বেশি। এ শিশু মৃত্যুর হার রোধ করতে প্রয়োজন সতর্কতা ও সচেতনতা।
যে কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে মৃত্যুর ঘটনা : অসাবধানতাই পুকুরে ডুবে শিশু মৃত্যুর মূল কারণ। তাছাড়া বাসা-বাড়ির পুকুরগুলো বেড়া দিয়ে ঘেরা না থাকা, পরিবারের মা-সহ অন্য নারীরা মোবাইল টিভিতে ব্যস্ত থাকা, সাঁতার না জানাও পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর অন্যতম কারণ। পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার কুতুবদিয়ায় অনেক বেড়েছে বলে স্থানীয়দের অভিমত।
পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুরোধে করণীয় : সচেতনতাই মূল করণীয় হওয়া উচিত। বাড়ীর মহিলাদের শিশুদের প্রতি মনোযোগ বাড়াতে হবে। মোবাইল আসক্তি কমিয়ে শিশুদের সময় দিতে হবে। আড্ডা কিংবা টিভি সিরিয়ালে মগ্ন না থেকে শিশুদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সেই সাথে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। বাড়ীর পুরুষদের দায়িত্ব হবে শিশুদের তাড়াতাড়ি সাঁতারে অভ্যস্ত করে তোলা। পুকুরগুলোতে যাতে ছোটরা সহজে নামতে না পারে সে ধরণের ঘেরা-বেড়া দিতে হবে (যতদূর পারা যায়)। জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসন প্রশিক্ষক দিয়ে এলাকাওয়ারী সাঁতার শিখানো কর্মসূচী হাতে নিতে পারে।
লেখক : নাজমুল হুদা সাকিব, কুতুবদিয়া কক্সবাজার।