লায়ন্স স্কলারশীপ ট্রাস্টের অ্যাওয়ার্ড বিতরণ

লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩১৫-বি৪ এর স্থায়ী প্রজেক্ট লায়ন্স স্কলারশীপ কর্তৃক প্রদত্ত বৃত্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের নিকট তার প্রাপ্তি নিশ্চয়তা পত্র তুলে দেয়া হয়েছে। শনিবার (১১ মার্চ) সকালে প্রথম পর্বে বৃত্তি প্রাপ্তদের সাক্ষাৎকার ও বিকালে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিকট তাদের বৃত্তি প্রাপ্তির কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়।

একজন শিক্ষার্থীর হাতে স্কলারশীপের ডকুমেন্ট তুলে দিচ্ছেন লায়ন্স নেতৃবৃন্দ

লায়ন্স স্কলারশীপ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন জেলা গভর্ণর লায়ন মোস্তাক হোসাইন এমজেএফ এর সভাপতিত্বে ও ট্রাস্টের সেক্রেটারী লায়ন এইচ এম কপিল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লায়ন্স জেলা গভর্ণর লায়ন শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ সিদ্দিকী পিএমজেএফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন দ্বিতীয় ভাইস জেলা গভর্ণর লায়ন কহিনুর কামাল এমজেএফ, সম্মানিত অতিথি ছিলেন প্রাক্তন জেলা গভর্ণর লায়ন সিরাজুল হক আনসারী এমজেএফ।

বক্তব্য রাখছেন লায়ন্স জেলা গভর্ণর শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ সিদ্দিকী পিএমজেএফ

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা গভর্ণর শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, মেধাবী, অসচ্ছল, শারীরিক প্রতিবন্ধীসহ নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও যেসকল অদম্য সাহসীরা তাদের পড়ালেখা চালিয়ে নিচ্ছে, লায়ন্সরা তাদের পাশে দাড়িয়ে তাদের সংগ্রামের সহযাত্রী হওয়ার চেষ্টা করছে। যদিও লায়ন্সের এ বৃত্তি তেমন বড় কিছু নয়, তবে কিছুটা হলেও এ সকল পড়ুয়াদের পাশে থাকার চেষ্টা সাহস ও মানবিকতার প্রতিফলন। আগামীতে এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লায়ন্স জেলার কেবিনেট সেক্রেটারী লায়ন হাসান মাহমুদ চৌধুরী, স্কলারশীপ ট্রাস্টের ট্রেজারার লায়ন শফিকুল ইসলাম, সদস্য লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমান। তাছাড়া বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে জীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। সেখানে লায়ন্সের এ বৃত্তিকে অনেক সহায়ক হিসেবে তারা আখ্যায়িত করেন।

২০১৮ সাল থেকে শুরু হওয়া লায়ন্স স্কলারশীপ ট্রাস্টের এ বৃত্তির সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে। এ বছর ৫৪জনকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। লায়ন্স সদস্যদের ট্রাস্টের লাইফ মেম্বার, ডোনার মেম্বার, স্পন্সরশীপ থেকে প্রতিবছর এ অর্থের সংস্থান হয়। বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রতিটি ছাত্রকে বছরে দেয়া হয় ২৪হাজার টাকা।

আরও পড়ুন