খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, এক দফা এক দাবি, হাসিনা তুই কবে যাবি। আমরা ইতিমধ্যে পদযাত্রা করেছি, রোডমার্চ করেছি, সমাবেশ করেছি। কিন্তু চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনি। সরকার শুনছে না। তাই এখন শোনাতে হবে এবং শোনানোর জন্য যা কিছু করা দরকার তাই করতে হবে।

তিনি সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকালে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়কে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মাহবুবের রহমান শামীমের নেতৃত্বে কাজীর দেউরী নুর আহমদ সড়ক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে লাভ লেইন, এনায়েত বাজার, জুবলী রোড হয়ে তিন পুলের মাথায় গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

এসময় জনাব শামীম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধের কারণে যারা দুর্নীতি, অন্যায় করেছে, ব্যবসায়ী যারা চুরি করেছে, তারা এখন আতঙ্কিত। সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের ছাপ প্রধানমন্ত্রীর মুখে। এমনভাবে কথাবার্তা বলছেন মনে হয় উন্মাদ হয়ে গেছে। আমরা বলতে চাই, রাজনৈতিকভাবে আপনার সময় শেষ হয়ে গেছে। মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন। দয়া করে কেটে পড়েন। তা না হলে জনগণ আপনাকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে।

এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী প্রমূখ।

আরও পড়ুন