গাজায় চিকিৎসা সরবরাহের ঘাটতির বিষয়ে সার্জন ঘাসান আবু সিত্তা বলেছেন, চিকিৎসা কর্মীদের পোড়া ড্রেসিং ফুরিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘দগ্ধদের ৮০ শতাংশই শিশু।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে (সাবেক টুইটার) তিনি এ কথা বলেন।
সার্জন ঘাসান আবু সিত্তা বলেন, ‘আমাদের ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে যাদের শরীরের ৪০ শতাংশেরও বেশি পুড়ে গেছে।’
এদিকে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস শাসিত গাজায় স্থল আক্রমণের জন্য সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইসরাইল।
শনিবার (২১ অক্টোবর) দেশটির সেনাবাহিনী বিবৃতি উল্লেখ করে এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা গাজায় প্রত্যাশিত স্থল আক্রমণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ‘যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ের জন্য’ প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখছে। সেনারা ‘অনুমোদিত অপারেশনাল পরিকল্পনা’ অনুযায়ী প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছে।
এর আগে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, গাজায় সামরিক অভিযান তিন ধাপে পরিচালিত হবে। আর তা ‘নতুন নিরাপত্তা বাস্তবতা’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উন্মোচিত হবে।
অন্যদিকে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে ত্রাণ পণ্যবাহী ট্রাক। এসব ট্রাকে ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী ও সীমিত পরিমাণে ক্যানজাত খাবার রয়েছে।
আলজাজিরার এক প্রতিনিধি তার নিউজ স্টেশনকে জানিয়েছেন, ‘আমরা ক্রসিং দিয়ে ত্রাণ সামগ্রীবাহী প্রথম ট্রাকটিকে গাজায় প্রবেশ করতে দেখেছি।’
এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘গাজা উপত্যকায় পাঠানো মানবিক সহায়তার তালিকায় জ্বালানি না থাকায় আমরা উদ্বিগ্ন। এতে অসুস্থ ও আহতদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়বে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘আমরা মিসরসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলব, মৃত্যুর বহর দীর্ঘ হওয়ার আগে জ্বালানি ও স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো নিশ্চিতকরণে কাজ করুন।’
সূত্র : আলজাজিরা