কক্সবাজার কটেজ জোনে উন্নয়ন কতৃপক্ষ ও গণপূর্তের উচ্ছেদ অভিযান

কক্সবাজার গণপূর্ত কার্যালয়ের পাশ ঘেঁষে গণপূর্তের জমিতেই অবৈধভাবে নির্মিত বহুতল ভবন উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও গণপূর্ত বিভাগ।

বুধবার ১২ অক্টোবর দুপুরে চালানো হয় এ অভিযান। সৈকত বহুমুখী সমবায় সমিতির নামে গণপূর্ত বিভাগের জমিতে অবৈধ ও অনুমোদনবিহীন বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ চলে আসছিল।

সুত্র মতে, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীত পাশে গণপূর্তের কার্যালয়। এই কার্যালয়ের পাশে লাইট হাউজস্থ কটেজ জোন। লাইট হাউজের কটেজ জোনে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে প্রায় ১০ একর জমিতে প্রতিযোগিতামূলক ভাবে চলে অবৈধ বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ। ভবন নির্মাণে কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ থেকে নকশা অনুমোদনের নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কলাতলি কটেজ জোনের পুরো জমি গণপূর্ত বিভাগের। এসব জমিতে কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ অবৈধ। কিন্তু গণপূর্তের পাশ ঘেঁষে একের পর এক বহুতল স্থাপনা নির্মাণ করা হলে বুধবার দুপুরে কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। তবে এ অভিযান ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। সামান্য আচঁড় লাগিয়ে পুরো অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে না দেয়ায় অনেকে এটাকে রহস্যজনক মনে করছেন।

এদিকে, এরআগে গত সেপ্টেম্বর মাসে গণপূর্ত বিভাগ একবার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল। কিন্তু অভিযানের পরপরই চলে নির্মাণ কাজ।
এরআগে ২০২১ সালের ২৫ জুলাই ও চলতি বছরের ৩১ মে দুই দফায় অভিযান চালিয়ে ওই স্থানে স্কেভেটর দিয়ে বেশ কয়েকটি অবৈধ নির্মাণাধীন ভবন উচ্ছেদ করেছিল কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। সেই অভিযানের দেড়মাস যেতে না যেতেই আবারও স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে শেষ করেছে লাইট হাউজের এসএস গেষ্ট হাউজ, টিআর রিসোর্ট ও সী কুইন কটেজের মালিক। এসময় জব্দ করা হয়েছিল নির্মাণ সরঞ্জামও।

এর আগেও সেখানে কউক অভিযান চালিয়ে নির্মাণাধীন বহু স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু ভেঙে দেওয়ার কয়েকমাস পর সেগুলো নির্মাণ কাজ চলে।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উচ্ছেদ অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বর্তমানে অনেক ভবনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সৈকত বহুমুখী সমবায় সমিতি।

আরও পড়ুন