বাঁশখালীর চাম্বলের চেয়ারম্যান হলো ভাইরাল মুজিব

সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটের মাঠে সক্রিয় ছিল ভোটাররা। কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অবশেষে বিজয়ের হাসি ফুটেছে দেশজুড়ে আলোচিত চাম্বলের সেই মুজিবুল হক চৌধুরী।

আলোচিত চাম্বল ইউপির বুধবার (১২ অক্টোবর) অনুষ্টিত নির্বাচনে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে ৩ হাজার ৬ শত ৪৮ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন মুজিবুল হক চৌধুরী। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৩ শত ১৫ ভোট। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফজলুল কাদের চৌধুরী আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৬শত ৬৭ ভোট।

উল্লেখ্য, ‘ইভিএম না থাকলে রাতেই ভোট নিয়ে নিতাম, আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন, আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোট দেবেন। ছাপ দিতে না পারলে সেখানে আমি ছাপ দেওয়ার মানুষ রাখবো’। গত ২৮ মে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে প্রকাশ্যে এমন বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন চাম্বল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী।’

ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ‘মুজিবুল হক চৌধুরী হ্যান্ডমাইকে বক্তব্য দিচ্ছেন। এসময় তিনি বলছিলেন, ‘রিকশায় করে পারেন, যে যেমন করে পারেন ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে যাবেন।কারণ ইভিএমের ভোট। ইভিএম না হলে সব আমি মেরে দিতাম। কাউকে খুঁজতাম না। কথা বুঝেন নাই। ইভিএমে আইডি কার্ড না ঢুকালে হয় না। ওটা হলে ভোট আমি রাতেই নিয়ে নিতাম। তাই আপনাদের কষ্ট করে সেটা (এনআইডি) নিয়ে যেতে হবে। মেশিনে ফিঙ্গার দিতে হবে। কথা বুঝেন নাই। আমি তো প্লেয়ার ওইটা, একেবারে ২০ হাজার নিয়ে ফেলি। সরকার ইভিএম একটা করছে, কী করবো…। কষ্ট করে নিয়ে গিয়ে আঙ্গুলে ছাপ দিয়ে ভোট দিতে হবে। ছাপ দিতে না পারলে সেখানে আমি ছাপ দেওয়ার মানুষ রাখবো। আমার জন্য একটু দোয়া করবেন সবাই।’

তার ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়েন। একপর্যায়ে নির্বাচন স্থগিত করে দেয় নির্বাচন কমিশন। দুই দফা স্থগিত হওয়ার পর বুধবার (১২ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি তারই জুটল। এ নিয়ে ধারাবাহিক দু’বার চাম্বলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন মুজিবুল হক চৌধুরী।

চাম্বল ইউপির এবারের নির্বাচন শতভাগ সুষ্টু হয়েছে বলে জানান সাধারণ ভোটাররা। সারাদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তাবলয় ছিল দেখার মতো। কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ ছিল শান্তিপূর্ণ।

বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুষ্টু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেওয়াই ছিল আমাদের চ্যালেঞ্জ। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটনা ঘটেনি। সহিংসতা বিহীন সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।’

আরও পড়ুন