শশুড় বাড়ীতে জামাই মারও খেলো, টাকাও খোয়ালো
লামায় শশুড় বাড়িতে জামাইকে মারধর, রুমের মধ্যে দেড়ঘন্টা তালাবদ্ধ করে ৯৭ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এ খবর জানাজানি হলে প্রতিবেশি এক শ্রমিকলীগ নেতা গিয়ে উদ্ধার করেন হামলার শিকার অবরুদ্ধ জামাইকে। ২১ আগষ্ট বিকেল সাড়ে চারটায় লামা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড চেয়ারম্যানপাড়ার বাসিন্দা জনৈক হারুন এর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
শশুরবাড়িতে হামলায় আহত হাবিল মিয়া পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড মধুঝিরির বাসিন্দা দানু মিয়ার ছেলে।
লামা হাসপাতালে ভর্তি আহত হাবিল মিয়ার বর্ণনা মতে, সে তার স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে শশুরালয়ে দেখতে ও স্ত্রীর জন্য চিকিৎসা খরচ দিতে যায়। এ সময় শশুড় হারুন, গিয়াস উদ্দিন ও শাশুড়ি মিলে তাকে লাঠি দ্বারা এলোপাথাড়ি আঘাত, কিল ঘুষি মারতে মারতে ঘরের মধ্যে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে বাহির থেকে তালাবদ্ধ করে রাখে। এ সময় শশুর পক্ষ হাবিল মিয়ার পকেটে থাকা টমটম বিক্রির ৯৭ হাজার টাকা নিয়ে নেয় বলে সে জানায়।
প্রায় দেড় ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর জানাজানি হলে, প্রতিবেশি একজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
বর্তমানে হাবিল মিয়া লামা সরকারি হসপিটালে ভর্তি রয়েছে। এ ব্যপারে হাবিল এর শশুড় হারুন এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, কিন্তু নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিক জানান, “বিষয়টি আমিও শুনে তাৎক্ষণিক লোক পাঠিয়ে জামাইকে ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করি”।
তিনি এই ঘটনাকে নিন্দনীয় বলে জানান। “শশুড় বাড়িতে জামাইকে মারধর করা উচিৎ হয়নি”।
লামা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদ উদ্দিন জানান, “বিষয়টা নিন্দাজনক। তিনি আরও জানান, “হাবিলের স্ত্রীর টিউমার অপারেশন-চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মধ্যে কিছুদিন ধরে মনমালিন্য চলে আসছে”। এর পরও দু’পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করার আশ্বাস দেন ভাইস চেয়ারম্যান।
এদিকে হাবিল মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এমন একটি ঘটনা করেও তাদের মধ্যে কোনো ধরনের অনুসুচনা লক্ষ্য করা যায়নি।
যার ফলে হাবিল মিয়া আদালতের আশ্রয় নিবেন বলে জানান।