ইকবাল কবির :: এক সেনাবাহিনী জেনারেলের অফিসের সিভিলিয়ান এক কেরানী সবসময় সব বাজিতেই জিতেন,তাকে কেউ হারাতে পারতেন না।
জেনারেলের ব্যাচমেট এক বন্ধু তার অফিসে এসে শুনলো বাজিতে জয়ের ঘটনা, তিনি তাকে বাললেন কি দোস্ত তোর অফিসের বাজিতে জেতা কেরানিকে কদিনের জন্য আমার অফিসে বদলি কর, দেখি কেমনে সে জিতে? তাই হলো।এবার জেনারেল সাহেব তার সঙ্গে বাজি ধরার সুযোগ খুঁজতে থাকেন।
একদিন সকালে সেই কেরানী তার কক্ষে একটি ফাইল দিতে এসে আমতা আমতা করে বললো স্যার, কিছু মনে করবেন না, আপনার শারীরিক কোন অসুস্থতা আছে বলে আপনার মুখ দেখে আমার মনে হচ্ছে। জেনারেল নড়েচড়ে বসলেন, এই তো বাজি ধরার সুযোগ। তুমি কি অসুস্থতা বুঝাতে চাইছো?
কেরানী স্যার বিষয়টি গোপন।আপনি অনুমতি দিলে বলতে পারি।
বলো,
কেরানী, স্যার আপনার পাইলসের সমস্যা আছে।জেনারেলের কোন পাইলসের সমস্যা নেই।তিনি ভাবলেন বেটারে বাজিতে হারানোর এটাই উত্তম সুযোগ।তা হলে বাজি হয়ে যাক।আমার যদি পাইলস থাকে তা হলে আমি বাজিতে হেরে যাবো।আর যদি না থাকে তবে তুমি হেরে যাবে, হোক বাজি।কেরানী, ঠিক আছে স্যার তবে আমার একটা আর্জি আছে স্যার কোন ডাক্তারের পরীক্ষা নয়, আমি নিজে আঙ্গুল দিয়ে পরীক্ষা করবো।জেনারেল মনে মনে ভাবলেন, শালারে বাজিতে হারাতেই হবে আর আমারতো পাইলস নাই। প্রথম বাজিতেই জেতার আনন্দ! তিনি রাজি হলো। ৫ হাজার টাকা বাজি।কেরানী পরীক্ষা করে বাজিতে হারলেন,পাইলস নেই।
জেনারেল আনন্দে দিশাহারা। প্রথম বাজিতেই জিতে গেছেন। এবার তার জেনারেল বন্ধুর অফিসে ফোন করলেন, কিরে দোস্ত, আমিতো তোর অফিসের কেরানীকে প্রথম বাজিতেই হারিয়ে দিলাম।
জেনারেল বন্ধুও আনন্দে উল্লাসিত হয়ে তার অফিসের সবাইকে ডেকে এনে বললেন দেখেছো আমার বন্ধু তাকে প্রথম বাজিতেই হারিয়ে দিয়েছে।সাব্বাশ সাব্বাশ। জেনারেলের বন্ধু বললেন, দোস্ত আমার অফিসের সবাই জানতে চাচ্ছেন কিভাবে তুমি তাকে হারালা?
তিনি ফোনের স্পীকার ওপেন করে বললেন, বাজির বিষয়টি তুমি বলো সবাইকে শুনোও। তখন বাজিতে জেতা জেনারেল বললেন, পাইলস পরীক্ষার বাজির বিবরণ।বাজির বিবরণ শোনার সঙ্গে সঙ্গে কান্নার রোল পড়ে গেলো এই প্রান্তের বন্ধুর অফিসে। বন্ধু জানতে চাইলো, কিরে তোর অফিসে সবাই আনন্দের বদলে কান্না করছে কেন?
তিনি তার অফিসের সবার কাছে জানতে চাইলেন কি হয়েছে, তোমরা খুশি না হয়ে কান্না করছো কেন? সবাই বললো, স্যার সর্বনাশ হয়ে গেছে।জেনারেল জানতে চাইলেন কি সর্বনাশ হয়েছে?
সবাই সমস্বরে উত্তর দিলেন কেরানী ওই জেনারেল স্যারের অফিসে যাওয়ার আগে আমাদের সবার সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা বাজি ধরেছে যে, আমি ওই জেনারেলের পাছায় আঙ্গুল দিবো।এটা কি করে সম্ভব স্যার?
লেখক : ইকবাল কবির, সাংবাদিক ও কলামিষ্ট।