হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাবে বিপাকে বাঁশখালীবাসী

দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় ডায়রিয়া রোগীর প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে বাঁশখালীতে এই ধরনের রোগী বেড়েছে। এসব রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকরাও। সরকারী হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারী হাসপাতালে বেড না পেয়ে ফ্লোরেও রোগীদের চিকিৎসা চলছে। গত কয়েকদিনে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী ভর্তির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ৫০ শয্যার হাসপাতালে চলতি আগস্ট মাসে প্রায় ১৫০ জন রোগী ডায়রিয়া রোগে ভর্তি হয়েছেন। প্রচন্ড গরমের কারণে নলকূপের পানির লেয়ার কমে যাওয়ায় অনেকেই বাধ্য হয়ে পুকুর ডোবার ময়লা-অপরিস্কার পানি ব্যবহার করছেন। বাসি-খোলা খাবারও খাচ্ছেন। মৌসুমী ফল-মূলের ওপর মাছি বসছে। এগুলো ভালো করে না ধুয়ে খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে বলে অনেকেই জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগীর প্রায়ই ডায়রিয়া রোগ নিয়ে ভর্তি ছিল। চিকিৎসা পেয়ে চলে গেছেন অনেকেই। সর্বশেষ আজ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ৫-৭জন ডায়রিয়া রোগী। উপজেলার বেসরকারী হাসপাতাল বাঁশখালী স্কয়ার ক্লিনিক-এ ভর্তি রোগীর ১৫ জনের মধ্যে ১২ জন ডায়রিয়া রোগী। একইভাবে চাম্বলে অবস্থিত বাঁশখালী জেনারেল হাসপাতালে ১১জন ডায়রিয়া রোগী। উপজেলার অন্যান্য বেসরকারী হাসপাতালগুলোর দেওয়া তথ্যমতে ভর্তি রোগীর সিংহভাগ ডায়রিয়া আক্রান্ত। দিনদিনই বাড়ছে ওই রোগের প্রকোপ।

বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শফিকুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘প্রতিদিনই ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এখন আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে।বাঁশখালী উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলতি আগস্ট মাসে এ পর্যন্ত ১৫০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। সুস্থ হয়ে ফিরছেন অনেকেই। বর্তমানে ৫-৭ জন ডায়রিয়াজনিত রোগী চিকিৎসাধিন আছেন।’