অব্যাহত রয়েছে চন্দনাইশের ইউএনও নাছরীন আক্তার কর্তৃক শীতবস্ত্র বিতরণ

পৌষের শেষার্ধে জেঁকে বসেছে শীত। হালকা ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশা শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। বেলা দুপুর গড়িয়ে গেলেও দেখা মিলছে না সূর্যের আলোর। এতে কষ্ট বেড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষের। হাড় কাঁপানো কনকনে এই শীতের রাতে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে নেই। গরম কাপড় জড়িয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন সামর্থ্যবানরা। কিন্তু চরম বিপাকে পড়েছে ভবঘুরে, আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী, নিন্ম আয়ের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ। শীতের তীব্রতায় কাঁপছে তারা। বিশেষ করে, বয়োজ্যেষ্ঠ ও শিশুরা চরম বিপাকে পড়েছে। হাড় কাঁপানো শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে গরম ও উষ্ণ শীতবস্ত্রের জন্য হাহাকার করে এসব শীতার্তরা। এমতাবস্থায় এসব অসহায় মানুষের কাছে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিতে মাঝরাতে দরজায় কড়া নেড়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ঘরে গিয়ে কম্বল বিতরণ করেছেন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার।
রবিবার (৮ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডস্থ বশরত নগর এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং বরকল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডস্থ সর্দারপাড়া এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের হতদরিদ্র, নারী, শিশু ও পুরুষের মধ্যে তিনি কম্বল বিতরণ করেন।

কম্বল বিতরণে উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েক, বৈলতলী ইউপি চেয়ারম্যান এসএম সায়েম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রিয়াদ হোসেন, বৈলতলী ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম চৌধুরী, বরকল ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মারজাদুল ইসলাম চৌধুরী আরমান সহ ওই দুই এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।

শীতার্ত মানুষের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রাপ্ত কম্বল বিতরণকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার বলেন, “কিছুদিন যাবত কনকনে শীত জেঁকে বসেছে। অনেক অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষ শীতে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের শীত নিবারণের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে দেওয়া কম্বল বিতরণ করছি। সমাজের অসহায়, অস্বচ্ছল ও হতদরিদ্র মানুষের সেবা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে সরকার আমাকে পাঠিয়েছেন। কিছু ভালোবাসা, কিছু মায়া দায়িত্ব পালনের অনুপ্রেরণা বাড়ায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ভূমিহীন মানুষগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পে। ক্রমান্বয়ে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে তারা। হাসি হাসি এই মুখগুলোই আমাদের বিজয়, আমাদের অর্জন।”

আরও পড়ুন