সীতাকুন্ডের আলীনগরের অপরাধ সাম্রাজ্যের রাজা ইয়াসিনের উত্থান যেভাবে

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার ১০নং সলিমপুর ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নেই রয়েছে অপরাধীদের অভয়ারণ্যখ্যাত ‘আলীনগর’। যেখানে ঠাঁই মেলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দাগি অপরাধীদের। পাহাড়ি দুর্ভেদ্য সাম্রাজ্যে স্থানীয়রা ছাড়া বাইরের কেউ প্রবেশ করতে চাইলে নিতে হয় অনুমতি। আর এই অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র আলীনগর সমবায় সমিতির। এই সমিতির সেক্রেটারি মো. ইয়াসিনের নিদের্শকেই চূড়ান্ত মনে করে ওখানকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ। দুর্ধষ সন্ত্রাসী, পাহাড়খেকো এই ইয়াসিনের নামে রয়েছে ১৮টি মামলা। ইয়াসিনই দায়িত্ব নিয়ে আশ্রয় দিচ্ছেন কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সন্ত্রাসীদের।

জঙ্গল সলিমপুরের সরকারি খাস জায়গার উপর দুর্গম পাহাড় কেটে গড়ে তোলা হয়েছে ‘আলীনগর’ নামের এক দুর্ভেদ্য সাম্রাজ্য। এ যেনো বাংলাদেশের মধ্যেই আরেক বাংলাদেশ। যেখানে প্রবেশের আগে অনুমতি নিতে হবে দুই রাজার। বড় রাজা মোহাম্মদ ইয়াসিন ও ছোট রাজা মোহাম্মদ ফারুক। আলীনগর নামটাও তাদের দেওয়া। কেননা সরকারি তালিকায় এ নামে কোন গ্রাম নেই এই উপজেলায়। দেশের বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও নানা অপরাধে জড়িতদের এখানে এনে আশ্রয় দেয় এই ইয়াসিন ও ফারুক। সন্ত্রাসীরাও নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য এখানে এসে বসবাস শুরু করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খাতায় নাম রয়েছে এরকম দাগী অনেক আসামি এখানে রয়েছে বলেও জানা যায়। আলীনগরের সন্ত্রাসীরা বাইরে নানা অপরাধ করে আবার ফিরে আসে। এখানে যেকোন ঘটনার মীমাংসা করেন দুই রাজা। তাদের অনুমতি ছাড়া কেউ থানায় বা অন্য কোথাও অভিযোগ দিতে পারেনা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, কয়েক বছর আগে নোয়াখালীর সুবর্ণচর থেকে সীতাকুন্ডের জঙ্গল সলিমপুর এসে বসবাস শুরু করে ইয়াসিন ও তার পরিবারের লোকজন। এরপর ধীরে ধীরে এখানকার দুর্গম পাহাড়ের একটি অংশ কেটে প্লট আকারে বিক্রি করা শুরু করে দুই ভাই। তাতেই রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যায়। নিজেদের রাজা উল্লেখ করে গড়ে তোলে নিজেদের আলাদা সাম্রাজ্য আলীনগর। কথিত আছে “ খুন করে আলীনগর চলে যাও তুমি নিরাপদ।” ইয়াসিন এক সময় আমিন জুট মিলের কর্মচারী ছিলেন। এরপর জলিল গেইট এলাকায় একটি চায়ের দোকানে চাকরী করতেন। তার বাবা সিএনজি চালক ছিলেন। তার নামে হত্যা, গুম, সরকারি জায়গা দখলসহ বিভিন্ন অপরাধের ১৮টি মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়। দেশের বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও নানা অপরাধে জড়িতদের এখানে এনে আশ্রয় দেয় এই ইয়াসিন ও ফারুক। সন্ত্রাসীরাও নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য এখানে এসে বসবাস শুরু করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খাতায় নাম রয়েছে এরকম দাগী অনেক আসামি এখানে রয়েছে বলেও জানা যায়। আলীনগরের সন্ত্রাসীরা বাইরে নানা অপরাধ করে আবার ফিরে আসে। এখানে যেকোন ঘটনার মীমাংসা করেন দুই রাজা। তাদের অনুমতি ছাড়া কেউ থানায় বা অন্য কোথাও অভিযোগ দিতে পারেনা।

আরও পড়ুন