বাঁশখালী জেনারেল হাসপাতাল লিমিটেড এর দ্বিতীয়তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এ.জি.এম) শনিবার (১১ জানুয়ারী) চাম্বল বাজার মান্নান সেন্টারে হোসাইনিয়া কনভেনশন হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। হাসপাতালের এমডি সাদুর রশিদ চৌধুরী এর সঞ্চালনায় এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পীরে কামেল আল্লামা শাহ্ শূফী মওলানা ইসহাক হুজুর।
এ সময় পরিচালকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোখতার হোছাইন সিকদার, ভাইস-চেয়ারম্যান এস.এম. আলী নেওয়াজ চৌধুরী ইরান, ডিরেক্টর অব মার্কেটিং আ.ন.ম. মহিউদ্দিন।
রেজুলেশন পেশ ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অফিস ডিরেক্টর সৈয়দ মুর্তজা আলী, অডিট রিপোর্ট পেশ করেন ফিন্যান্স ডিরেক্টর মাওলানা তমিজ উদ্দিন, হাসপাতালের ২০২৪ সালের বার্ষিক সেবা প্রতিবেদন পেশ ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সহকারী ব্যাবস্থাপক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলো আমাদের সাপোর্টিং সেবা প্রতিষ্ঠান। বাঁশখালীর প্রায় ৮ লক্ষ জনসাধারণের সেবা আমাদের পক্ষে নিশ্চিত করা খুবই কঠিন। এ ক্ষেত্রে জেনারেল হাসপাতালসহ অন্যান্য বেসরকারী হাসপাতালের ভূমিক কম নয়। বাঁশখালী জেনারেল হাসপাতাল সুনামের সাথে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ সময় তিনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও অভিজ্ঞ কনসালটেন্ট দ্বারা সু-চিকিৎসা প্রদানের প্রতি কতৃর্পক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন।’
হাসপাতালের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের হাসপাতাল ভাংচুর করে, বিভিন্ন মেশিনারী যন্ত্রপাতি ভাংচুর ও লুটপাট করে আমাদের প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করে। ঘটনার পরপরই প্রান্তিকের সেবা নিশ্চিৎ করতে আমরা খুব শিগ্রই পুনরায় সেবাকার্যক্রম পুরোদমে চালু করেছি। অত্যান্ত সুনামের সাথে বাঁশখালী জেনারেল হাসপাতাল তার সেবা দিয়ে যাচ্ছে। অতিশিগ্রই আমরা কাংখিত মানের নার্সিং ইনস্টিটিউটের কাজ শুরু করবো। হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’
এ সময় অন্যান্য শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- ডা. জিয়াউল কাদের, ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল মোস্তফা, মাওলানা মোশাররফ হোসেন, প্রফেসর আজিজুর রহমান, কাজী মুহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দীক, প্রফেসর জাকের আহমদ, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ বিন বজল
মাষ্টার আব্দুর রহিম, সাংবাদিক মোক্তার আহমদ, মুহাম্মদ তৌহিদুর রহমান, অধ্যক্ষ জাকের আহমদ, মুহাম্মদ জহির উদ্দিন প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন বাঁশখালীর সর্বজন শ্রদ্ধেয় পীরে কামেল শাহ্ সূফি আল্লামা ইসহাক হুজুর।