চন্দনাইশে স্বামীর ছোড়া অকটেনের আগুনে পুড়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ১০ ঘন্টা পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্ত্রী নাজমা আক্তারের (২২) মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর পাঁচটায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী আব্দুল জব্বার (২৮) কে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে, গত শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডস্থ বাউলিয়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হাশিমপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইদ্রিস মিঞা জানান, দোহাজারী পৌরসভার জামিজুরী এলাকার মৃত আব্দুচ ছালামের ছেলে আব্দুল জব্বারের সাথে হাশিমপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাউলিয়া পাড়া এলাকার মো. সেলিমের মেয়ে নাজমা আক্তার (২২) এর সাথে বিয়ে হয় বিগত ৬/৭ বছর আগে। ওই দম্পতির ৪ বছর ও ৩ বছর বয়সী দুইটি সন্তানও রয়েছে। গত একমাস আগে পারিবারিক কলহের জেরে নাজমা অভিমান করে বাবার বাড়ি চলে আসে। গত একমাস যাবত সে শ্বশুর বাড়ি ফেরেনি। ঘটনার দিন (শুক্রবার) সন্ধ্যায় নাজমা রান্না করা অবস্থায় তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে স্বামী জব্বারের হাতে থাকা প্লাস্টিকের বোতল থেকে অকটেন নাজমার গায়ে নিক্ষেপ করলে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে ঝলসে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) রেফার করে। সেখানে ১০ঘন্টা চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার ভোর ৫টায় নাজমা আক্তারের মৃত্যু হয়।
চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমরান আল হোসাইন বলেন, “স্বামীর ছোড়া অকটেনের আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ নাজমা আক্তার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. তারেক বাদী হয়ে আব্দুল জব্বারকে একমাত্র আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়ের হওয়ার আড়াই ঘন্টার মধ্যে শনিবার সকাল ৮টায় আসামি আব্দুল জব্বারকে দোহাজারী পৌরসভা বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে আটক করা হয়েছে।”