বাঁশখালীতে জায়গার বিরোধ নিয়ে তিন শতাধিক গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

বাঁশখালীতে জায়গার বিরোধ নিয়ে তিন শতাধিক ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার চাম্বল ইউপির পূর্ব চাম্বল পেয়াজু মুড়া নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নুর জাহান বেগম নামে এক নারী বাদী হয়ে বাঁশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ফয়েজুল হকের পুত্র আসাদুল হক, মিজবাহুল হক, সোয়াইবুল হক, মো. আনাছ, মো. এহেলাছ, মোরশেদুল হকের পুত্র মো. সুমন, ফজল আহমদের পুত্র আবুল হোসেনসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে। মামলার বাদী নুর জাহান বলেন, তার পৈত্রিক মৌরশী সম্পত্তি আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছে। যা নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতে মামলাও চলমান আছে। এমন অবস্থায় আসামীরা দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে বিবদমান জায়গার বাড়ি ভাঙচুর করে এক লাখ বিশ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়, জিনিসপত্র ভাঙচুর করে দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে, পাঁচ লক্ষাধিক টাকার গাছ লুট করে নিয়ে যায়। আসামীরা এখনও হুমকি ধমকি প্রদান করছে।

ওই জায়গায় বসবাসরত আব্দুর রশিদ, মো. জসিম ও রাশেদা বেগম জানান, তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ কেউ জমি ক্রয় করে আবার কারো পৈত্রিক ভাবে প্রাপ্ত হয়ে জায়গা গুলোতে বসবাস করে আসলেও দিনদুপুরে সন্ত্রাসী কায়দায় হঠাৎ তাদের রোপণকৃত গাছ গুলো কেটে নিয়ে যাবে কখনও কল্পনাও করিনি।

অন্যদিকে অভিযুক্ত আসাদুল হকের দাবি, ‘জায়গাটি আমাদের মালিকানাধীন জায়গা। আদালতও আমাদের অনুকূলে দুইবার রায় দিয়েছে। দীর্ঘদিন রাজনৈতিক পেশিশক্তি ব্যবহার করে জায়গাগুলো দখল করে রাখা হয়েছিল। পেশিশক্তির বিলোপ হওয়ায় আমরা আমাদের জায়গা দখলে নেয়ার চেষ্টা করছি।’

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, ‘এব্যাপারে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন