বাঁশখালীতে গাছ কাটার অভিযোগে মামলা, সাক্ষীদের মারধরের হুমকী!

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বন্দোবস্তিকৃত মালিকানাধীন ভোগদখলীয় সৃজিত বাগানের ভূয়া মালিকানা দাবী করে জোরপূর্বক জায়গা দখলের অপচেষ্টায় শতাধিক বনজ, ফলজ গাছ কেটে ফেলা এবং সেগুলো চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে বাগান মালিক এয়াছিন বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখপূর্বক এবং ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের পূর্ব পালেগ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা গেছে, ওই গ্রামের আলহাজ্ব আমান উল্লাহর পুত্র এয়াছিন বন্দোবস্তিমূলে প্রাপ্ত ভূমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ এবং বনজ গাছ রোপণ করেন এবং তা ভোগদখলে আছেন। পালেগ্রাম মৌজার বি.এস ৩৫০৬, ৩৪৮৩ দাগের এক একর ৫০ শতক ভূমি তার পিতা আলহাজ্ব আমান উল্লাহ ও মাতা নুর আয়েশা বন্দোবস্তিমূলে প্রাপ্ত হয়। যার প্রেক্ষিতে তার পিতা ও মাতার নামে নামজারী বি.এস খতিয়ান নং- ১৫২৫ শুদ্ধভাবে লিপি হয়। একই সাথে উক্ত মৌজার বি.এস ৩৫০৬/১ দাগের এক একর ভূমি তার (এয়াছিন) ও তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বন্দোবস্তিমূলে প্রাপ্ত হয়। যার প্রেক্ষিতে তারা স্বামী-স্ত্রীর নামে নামজারী বি.এস খতিয়ান নং-১৫৫৮ শুদ্ধভাবে লিপি হয়। আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের দখলীয় ভূমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।

মামলার বাদী এয়াছিন জানান, ‘গত ৯ নভেম্বর সকালে আমাদের দখলীয় ভূমিতে আসামীরা জনবল নিয়ে সৃজিত বাগানের বহু বছরের পুরানো প্রায় ৪০ টি লিচু গাছ, ১০ টি বড় আম গাছ, একাশি গাছ ২০ টি, গামারী গাছ ৬০ টি, মেহগণি গাছ ৪০ টি, গর্জন গাছ ১০ টি কেটে নিয়ে যায়। যার মূল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে প্রতিকার না পেয়ে গত ১১ ডিসেম্বর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি সি.আর মামলা দায়ের করি। আসামীরা মামলার খবর পেয়ে আমার সাক্ষীদের নানাভাবে মারধরের হুমকি-ধমকী দিচ্ছে।’

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে প্রতিপক্ষের আব্দুল কাদের ও আব্দুল মান্নানের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ‘গাছ কাটার অভিযোগে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০২৩ সালের ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে আজগর আলী, আব্দুল কাদের, রোবেল, আলম, আনোয়ার, আব্দুল মুবিন, জমির উদ্দীন, আলী আকবর, ফারুক, আব্দুল মান্নানসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখপূর্বক আজ্ঞাত আরো ১৫০-২০০ জনের বিরুদ্ধে সি.আর মামলা দায়ের করেন এয়াছিন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাঁশখালী থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।’

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, ‘মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলেই তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরও পড়ুন