চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের ওইট্টালতল পালপাড়া এলাকায় পলাশ সুশীল নামে এক ব্যক্তির ভবনে কাজের সময় অসতর্কতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরতর আহত মোহাম্মদ হোছেন (২৩) নামে এক রাজমিস্ত্রির চমেকে চিকিৎসাধিন অবস্থায় চারদিন পর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পলাশ সুশীলের ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে কাজের সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি দেওয়া হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তার শরীরের প্রায়ই ৬০ শতাংশ পুড়ে ঝলসে যায়। সর্বশেষ চিকিৎসাধিন অবস্থায় গত রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার সময় তার মৃত্যু ঘটে।
এ ঘটনায় মারা যাওয়া রাজমিস্ত্রি মো. হোছেন বাঁশখালী পৌরসভার উত্তর জলদী ভাদালিয়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাজ্বী আব্দুল কাদের সিকদার বাড়ীর কবির আহমদের পুত্র। হোছেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।
মো. হোছেন এর খালাত ভাই মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘হোছেন ওই ভবনে রাজমিস্ত্রির কাজ করার সময় অসতর্কতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এতে তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চমেকে নিয়ে এলে চিকিৎসাধিন অবস্থায় গত রাতে মারা যান।
রামদাশ হাঁট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তপন কুমার বাগচী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে জানান, ‘নিহতের পরিবারের সম্মতিতে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ হস্তান্তর চেয়ে বাঁশখালী থানা থেকে পাঁচলাইশ থানা বরাবর একটি লিখিত তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।