দক্ষিণ চট্টগ্রামের শতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপিত

আনোয়ারাসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের শতাধিক গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার (৯ জুলাই) সকাল সাড়ে নয়টার সময় উপজেলার বরুমচড়া, তৈলারদ্বীপ, বারখাইন, খাসখামা, কাঠাখালী, রায়পুর, গুজরা গ্রামে পৃথক পৃথক ভাবে ঈদুল আজহার জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। পরে তারা মহান আল্লাহর নামে গরু কোরবানি দেন। সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবারের অনুসারীরা হানাফী মাযহাবের অনুসরণে হজ্জ্বের পরের দিন ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন। তাঁরা দুইশত বছর পূর্ব হতে এ নিয়মে ঈদুল আযহা পালন করে আসছেন।

দরবারের সূত্র জানায়, মির্জাখীল দরবার শরীফের খানকাহ মাঠে সকাল সাড়ে নয়টার সময় ঈদুল আজহার প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। হজরত ইমামুল আরেফীন ড. মৌলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান নামাজে ইমামতি করেন।

ঈদ উদযাপনের বিষয়ে মির্জাখীল দরবার শরীফের মোহাম্মদ মছউদুর রহমান বলেন, ‘আমরা হানাফী মাযহাবের অনুসারী হিসেবে বিগত দুই শতাধিক বছর ধরে ইয়াউমুল আরাফাহ বা পবিত্র হজ্জ্বের পরের দিনই আমরা ঈদুল আজহা পালন করে আসছি। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ হতে চাঁদের অবস্থান এবং হজ্জ্ব পালনের খবর সচিত্র দেখে তথা এই বছর শায়খ ড. মুহাম্মাদ বিন আব্দুল করিম আল-ইসসা কতৃর্ক প্রদত্ত হজ্জের খুতবা সরাসরি পবিত্র আরাফাতের মসজিদে নামিরা হতে দেখে-শুনেই শনিবার ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়।

এছাড়া সাতকানিয়ার মির্জাখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা, আলীনগর, মাদার্শা, খাগরিয়া, মৈশামুড়া, পুরানগড়, বাজালিয়া, মনেয়াবাদ, চরতি, সুঁইপুরা, হালুয়াঘোনা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, চরবরমা, কেশুয়া, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, ডোংরা, শেখেরখীল, ছনুয়া, পুইছড়ি, লোহাগাড়ার পুঁটিবিলা, কলাউজান, চুনতী এবং সীতাকুন্ডের মাহমুদাবাদ, বারিয়াঢালা, বাঁশবাড়িয়া, সলিমপুর, মহালংকা, ফেনী, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, ঢাকা, মুহাম্মদপুর, মুন্সীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, মনোহরদী, মঠখোলা, বেলাব, আব্দুল্লাহনগর, কাপাসিয়া, চাঁদপুর জেলার মতলব, সিলেট, হবিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, মিরশরাই, পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী জেলাসমুহের শতাধিক গ্রামের বহুসংখ্যক অনুসারীরা শনিবার ঈদুল আজহা উদযাপন করেন।

আরও পড়ুন