চট্টগ্রামের আনোয়ারার বারশত ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলমগীরের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। রোববার (৩০ জুলাই) রাতে উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নে উত্তর বন্দর এলাকা থেকে মো. নুর উদ্দিন প্রকাশ বাল্লা (৩০) ও মৃত আবদুল মজিদের পুত্র মোহাম্মদ হেলাল (২৮)কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত দুইজনই উত্তর বন্দর এলাকার।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি সোমবার রাতে নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল আহমেদ বলেন, যুবলীগ নেতার ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। জড়িত অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
গত রোববার দুপুর আড়াই টার দিকে উপজেলার বারশত ইউনিয়নের পশ্চিমচাল ওমর আলী সওদাগরের দোকান এলাকায় মোটরসাইকেল যোগে এসে মোঃ আলমগীর (৩৫) ওপর হামলার চালিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতার উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত আলমগীর বারশত ইউনিয়নের পশ্চিমচাল এলাকায় মৃত আবদুল আউয়ালের পুত্র এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমচাল রশিদ ম্যানশনের নুর মোহাম্মদের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম বাড়ি নির্মাণের কাজ করছিল। সে কাজ তদারকি করছিলেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর। দুপুর আড়াইটার দিকে গ্রেপ্তারকৃতরা মোটরসাইকেল যোগে ঘটনাস্থলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেন এবং মারধর করেন কাজ তদারকিতে নিয়োজিত তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আলমগীরকে।
এঘটনায় গত রোববার (৩০ জুলাই) পশ্চিমচাল রশিদ ম্যানশনের নুর মোহাম্মদের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় উত্তর বন্দর এলাকার মৃত সোবহান বক্স ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগমের পুত্র মোহাম্মদ আকতার (৩৫)কে প্রধান আসামী করে একই এলাকার আফছার খানের পুত্র মোহাম্মদ নুর উদ্দিন প্রকাশ বাল্লা (৩০), মোহাম্মদ জিসান (২৫), বারশতের ইসমত আলীর পুত্র মোহাম্মদ নুর (৩৫), বটতলী চাপাতলীর আবদুল ছবুর প্রকাশ মনুর পুত্র মোহাম্মদ রুবেল (৩০), উত্তর বন্দর ছখিনা বাপের বাড়ির মৃত আবদুল মজিদের পুত্র মোহাম্মদ হেলাল (২৮), মৃত মোহাম্মদ নাছির প্রকাশ তেল নাছিরের পুত্র নেওয়াজ নাছির (২৫)সহ আরও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।