ময়মনসিংহের জনপ্রিয় মিষ্টিকণ্ঠী স্টেজ শিল্পী রুপকথা রুপু

মোঃ শামসুল হুদা :: ময়মনসিংহের সঙ্গীত জগতের প্রিয় মুখ রুপকথা রুপু। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন সঙ্গীতানুষ্ঠানে গান করে। বাংলাদেশ আর্মি, বিজিবি, পুলিশ বিভাগ, বিচার বিভাগসহ সকল সরকারি অনুষ্ঠানে সঙ্গীতে প্রথম চয়েজ রুপকথা রুপু। একাধারে আধুনিক, ফোক, কনসার্টসহ সকল ধরনের গান করেন তিনি। মঞ্চ মাতিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখেন। তাঁর সবচেয়ে বড় যোগ্যতা, যে কোনো ধরনের গান করতে পারেন। মিষ্টি, সুরেলা কণ্ঠ; কিছু সময় রুনা লায়লা, কখনো বা সাবিনা ইয়াসমিনের গান কী অপরূপ অবিকল তিনি নিজের কণ্ঠে ধারণ করেন, আর এ জন্যই শ্রোতারা তাঁকে পছন্দ করেন বেশি।

আনন্দমোহন কলেজের মাস্টার্সে পড়ুয়া রুপুর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের শহরতলীতে। তালিম নিয়েছেন ময়মনসিংহের প্রসিদ্ধ সকল ওস্তাদজীর কাছে। গানের সহপাঠী অনেককে ছাড়িয়ে আপন যোগ্যতায়, আপন দ্যুতিতে রুপু নিজের অবস্থান করে নিয়েছেন সঙ্গীত জগতে। অনেকগুলো মৌলিক গান করেছেন। এর মধ্যে ‘পড়শিরা কয় থামরে এবার থাম’, ‘ভালবাসি জোসনা রাত’, ‘একটু ভালবাসা দিয়া যা’, এর মত জনপ্রিয় গানগুলো রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ময়মনসিংহ বিভাগের কোথাও না কোথাও স্টেজ প্রোগ্রামে ব্যস্ত থাকতে হয় তাঁর।

শিল্পীর গানের কণ্ঠের পাশাপাশি চেহারাও একটা ফ্যাক্টর মনে করা হয়। এক্ষেত্রে রুপু দুটোতেই সমানে সমান। বেশ সুন্দর চেহারার পাশাপাশি চিবুকের তিল রুপুর চেহারাকে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। বিশেষত স্টেজে তার সক্রিয় জেস্চার পশ্চার দর্শকদের বেশ মোহিত করে রাখে।

ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি তাঁর দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে উঠে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই তিনি সঙ্গীতে তালিম নিতে থাকেন। কীভাবে সময় কাটছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে স্মিত হেসে রুপু বলেন, সপ্তাহে তিন-চারটা স্টেজ প্রোগ্রাম থাকে। বিশেষত সরকারি অনুষ্ঠানমালায় ডাক পড়ে বেশি। তখন না করা যায় না।

এক প্রসঙ্গে রুপকথা রুপু বলেন, কয়েকদিন আগে বিজিবির একটা অনুষ্ঠানে একটানা ৩৭টি গান করেছেন, শ্রোতাদের অনুরোধের গান যেন শেষ হতে চায় না। শ্রোতারা যেহেতু শুনতে চাইছেন তাই আমিও থামিনি। কারণ শ্রোতার পছন্দ শিল্পীর কাজের অনুপ্রেরণা।

গান গেয়ে দর্শক-শ্রোতার মনে স্থান করে নিতে চান রুপকথা রুপু। দর্শক-শ্রোতারা যতদিন গান শুনতে চান, ততদিন গান গাইবেন বলে মন্তব্য করেন রুপু। ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ বিশেষত প্রেম-বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করতেই স্মিত হেসে রুপু বলেন, আসলে গান আর লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত সময় কেটেছে এতদিন। পরীক্ষায় বরাবর ভাল রেজাল্ট করে আসছেন তিনি। সামনেই মাস্টার্স পরীক্ষা। পরীক্ষার পরে বিয়ের বিষয়ে চিন্তা করতে পারি। পরিবারের পছন্দেই বিয়ের পক্ষে মত রুপুর। সবার কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

লেখকঃ মোঃ শামসুল হুদা, তথ্য সহকারী, আঞ্চলিক তথ্য অফিস, ময়মনসিংহ।