চট্টগ্রাম বন্দরের ৩৭৯ কন্টেইনার পণ্য ধ্বংস করলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষ

চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃক পরিচালিত পচনশীল পণ্য ধ্বংসযজ্ঞ শেষে বন্দর ও বিভিন্ন অফডকের অভ্যন্তরে ৩৭৯ কন্টেইনার পণ্য ধ্বংস করে কন্টেইনারগুলো খালি করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে ছিল ১৫৩টি এবং বিভিন্ন অফডকে ছিল ২২৬টি কনটেইনার। গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই পণ্য ধ্বংস কার্যক্রমে মোট ৩৮২ কনটেইনার পণ্য থাকার কথা থাকলেও দুটি কনটেনারের পণ্য ১১ তারিখের আগেই ধ্বংস হয়েছিল। আর একটি কনটেইনার হস্তান্তর অযোগ্য হওয়ায় ওই কনটেইনারটি হালিশহরে সিটি কর্পোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনে আনা সম্ভব হয়নি। তাই রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ওই কনটেইনার বাদে ৩৭৯ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করার কাজ শেষ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

কাস্টমস সূত্র জানায়, এসব কনটেইনারে ছিল পেঁয়াজ, আদা, আপেল, ড্রাগন ফল, কমলা, আঙুর, হিমায়িত মাছ, মহিষের মাংস, মাছের খাদ্য, লবণ, রসুন, সানফ্লাওয়ার অয়েল, কফি ইত্যাদি।

পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন বলেন, কাংখিত সময়ের আগেই আমরা আমাদের কার্যক্রম শেষ করতে পেরেছি। চলতি মাসের ১১ তারিখ শুরু করে ২৬ তারিখের মধ্যে শেষ করার একটা টাইম ফ্রেম নিয়ে আমরা কাজ করেছি। কিন্তু ২৬ তারিখের আগেই আমরা আমাদের কাজ শেষ করেছি। মাঝে কয়েকদিনের বৃষ্টিও আমাদের কাজে বাধা হয়ে দাড়াতে পারেনি। এই পণ্য ধ্বংসের কাজটি শেষ হওয়ায় বন্দর ও অফডকে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ৩৭৯ কনটেইনারের একটা সমাধান করা গেল। ফলে বিপুল জায়গা খালি হয়েছে বন্দর ও অফডকের।

এর আগে পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম সম্পন্ন করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ৮ সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটিতে ছিল, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বন্দরের ট্রাফিক ও নিরাপত্তা বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও বিজিবি।

পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম প্রসঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কল্লোল দাশ বলেন, মাটি খুঁড়ে ডাম্পিং স্টেশনে পচা পণ্যগুলো পুতে ফেলা হয়েছে। সুতরাং পরিবেশের ওপর বিরূপ কোন প্রভাব পড়বে বলে আমরা মনে করি না।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সিনিয়র কেমিস্ট জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, ব্যবহার অযোগ্য পচনশীল এসব পণ্য কর্পোরেশনের ময়লার ডাম্পিং স্টেশনের পাশে খালি জায়গায় গভীর গর্ত করে চাপা দেয়া হয়েছে। এতে পরিবেশের কোন ক্ষতি হবে না।

আরও পড়ুন