সম্প্রতি ইসরাইলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের স্মরণে শনিবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সারা দেশের সব মসজিদে জুমা ও অন্য নামাজের পরে নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া করার আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ইসরাইলের হামলার শিকার শুধু মুসলিমরাই নয়, খ্রিস্টান ও ইহুদিরাও এর শিকার।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোব) ঢাকার তেজগাঁও এলাকার সড়ক ভবনে একযোগে ৩৯টি জেলায় ১৫০টি সেতু এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নবনির্মিত ১৪টি ওভারপাস উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ফিলিস্তিনের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশ পাশে থাকবে। কারণ ফিলিস্তিনের ওপর বারবার হামলা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি বলেন, “আমাদের অবস্থান হলো অবিলম্বে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। ইসরাইলের দখল করা ভূমি ফিলিস্তিনের জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। ফিলিস্তিনের জনগণকে তাদের ভূমি ফিরিয়ে দিতে হবে”।
ঢাকায় নিযুক্ত ওআইসি সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বুধবারের বৈঠকের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি রাষ্ট্রদূতদের বলেছেন ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।
তিনি বলেন, “আমরাও তাদের সঙ্গে আছি। আমাদের লড়াই করতে হবে। তাদের ওপর বার বার হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এটা মেনে নিতে পারি না”।
তিনি বলেন, ইসরাইল যেভাবে ফিলিস্তিনের একটি হাসপাতাল ও অন্য স্থানে হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুসহ নিরপরাধ মানুষ হত্যা করেছে, তার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, “ইসরাইলের বোমা হামলায় নিহত বা আহত শিশুদের রক্তমাখা মুখ দেখা অসহনীয়”।
তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য বাংলাদেশ ওষুধ, শুকনো খাবার ও অন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠাবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, “আমরা নারী ও শিশুদের জন্য ওষুধ, শুকনো খাবার এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠাব। আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের যা কিছু সম্পদ আছে আমরা সবসময় তা নিয়ে মানুষের পাশে আছি”।
প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ফিলিস্তিনিদের জন্য ওষুধ পাঠানোর পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।