রাজধানীর লালবাগে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সমাবেশ

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা গণভবনে গিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে তাদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে বলে গণভবনের গেটে ব্রিফিং করে আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটিয়ে ছিলেন।কিন্তু সেখান থেকেই তারেক রহমান সরকার পতনে এক দফার শুরু করেছিলেন। বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠন,সমমনা রাজনৈতিক দল ও রাজপথে থাকা ছাত্রজনতা কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার আহব্বান জানিয়েছিলেন।ছাত্রজনতাসহ সর্বস্তরের জনগন তারেক রহমানের আহবানে সারা দিয়েই চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার শপথ নিয়েছিলেন। ছাত্রজনতার গনঅভ্যুত্থানের আকাংখা বাস্তবায়নের টার্নিং পয়েন্টই ছিলো এটা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর লালবাগ থানা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্যে জিলানী স্বেচ্ছাসেবক দল কে একটি সুশৃঙ্খল সেবাধর্মী দল হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন,বিগত সাড়ে ১৭ বছর আন্দোলনে যে সমস্ত ত্যাগী কর্মীরা পরিবার-পরিজন ফেলে রাজপথে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের গুম-খুন জুলুম অত্যাচারে নিষ্পেষিত হয়েও জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত রাজপথে ছিলো তাদের নিয়েই আগামী কমিটি গঠিত হবে।তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলে কোন,চাঁদাবাজ, দখলবাজ,সন্ত্রাসী ও হাই ব্রীড নব্যনেতাদের স্থান হবে না।আর এটা আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা। প্রধান বক্তার বক্তব্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহ্সান বলেন, আজকে আপনারা অত্যান্ত সুশৃঙ্খল ভাবে এই কর্মী সমাবেশে উপস্থিত থেকে প্রমান করেছেন,স্বেচ্ছাসেবক দল একটি সুশৃঙ্খল দল।তিনি বলেন, আপনাদের নিজের কর্মফল,সাংগঠনিক যোগ্যতই আপনাকে দলের নেতৃত্বে পৌঁছে দিবে।যোগ্যদের দলই খুঁজে নিবে সঠিক নেতৃত্বে। তিনি বলেন,আমাদের নেতা তারেক রহমান এখনো দেশে ফিরেননি,আমাদের নেত্রী অসুস্থ লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।তাই আমাদের গনতান্ত্রিক আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি।নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহন না করা পর্যন্ত পতিত স্বৈরাচার নানান মুখি ষড়যন্ত্র করবে।যে কোন সময়ে পতিতরা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট ও তাদের বিচার বানচাল করতে তৎপরতা চালাতে পারে।স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিটি কর্মীকে সতর্ক থাকতে হবে।


লালবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহব্বায়ক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন,স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সফিউদ্দীন আহমেদ সেন্টু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি, এ এ জহির উদ্দিন তুহিন, সাধারণ সম্পাদক সাদ মোর্শেদ পাপ্পা শিকদার, সহসভাপতি মনির হোসেন মৃধা,সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, দেলোয়ার হোসেন রিন্টু, যুগ্ম সম্পাদক, মনির হোসেন ও দপ্তর সম্পাদক মোঃসাইফুল ইসলাম পলাশ। লালবাগথানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ সুজনের পরিচালনায় কর্মী সভায় চারটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত লালবাগ থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বিশাল প্যান্ডের নীচে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীরা কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের বক্তব্য পিনপতন নিরবতা বজায়ে রেখে মনোযোগ সহকারে শোনেন।যা কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী সমাবেশে একটি নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত বলে কেন্দ্রীয় নেতারা প্রশংসা করেন।

আরও পড়ুন