চকবাজার থানাধীন সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া মাঠে অস্থায়ী বিশেষ আদালতে আগুনঃ বিচারকাজ স্থগিত

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চকবাজার থানাধীন সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া মাঠে অস্থায়ী বিশেষ তিন নাম্বার আদালতে নিউ মার্কেট থানার মামলা নং ০৯(০৪)০৯, দায়রা মামলা নং- ৭৭৭/১০ (বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন) এর বিচারিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন ধার্য ছিল ৷ মামলাটি বিডিআর বিদ্রোহ মামলা নামে নথিভুক্ত। কিন্তু সকাল থেকেই মাদ্রাসা ছাত্ররা এই খেলার মাঠ থেকে আদালত সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখে।যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।এরই মাঝে ভোরেই আদালতের ভেতরে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।এতে আদালত পরিচালনা পরিবেশ অনুকুলে না থাকায় বিচারকাজ বন্ধ রাখা হয় বলে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানাগেছে।সকালেই আদালত চত্বর পরিদর্শনে আসেন বিচারক মোহাম্মদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া।তিনি মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ।এসময় পিপি বোরহান জানান,বর্তমান পরিস্থিতিতে বকসিবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিচার কার্য পরিচালনা করা সম্ভব নয় এ বিষয়ে সকলে একমত হয়েছেন। দ্রুত সময়ে পরবর্তী আপডেট জানানো হবে বলে তিনি জানান। পুরাতন জেলখানা ও মহিলা কারাগারে পরবর্তী শুনানি হতে পারে কিনা এ বিষয়ে পরে সরকারের সিদ্ধান্ত নিবে বলে জানান। এই দুই জায়গায় না হলে সর্বশেষ কেরানীগঞ্জে হতে পারে। আদালত ভবনে আগুন, মামলা ও তদন্ত বিষয়ে পরে জানানো হবে বলে জানাগেছে।

 

আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ ও বকসিবাজার মোড় এলাকার পরিস্থিতি ও যানচকাচল স্বাভাবিক হয় দুপুরের পর থেকে।মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত মোট ৮৩৪ জন আসামীর মধ্যে ১৯ জন পলাতক এবং ৫২ জন আসামি মৃত্যুবরণ করেছে। অবশিষ্ট ৭৬৩ জন আসামীকে আজ আদালতে হাজির করার দিন ধার্য ছিল ৷ কিন্তু আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের রাস্তায় ব্যারিকেডের ফলে আদালতের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়নি।বৃহস্পতিবার শেষ রাতের দিকে কে বা কাহারা আদালত কক্ষের ভিতর অগ্নি সংযোগ করে আদালতের ভিতরের আসবাবপত্র পুড়িয়ে ফেলে।সকাল পোনে( ১১,৪৫) টায় মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে উপস্থিত হয়ে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানান এখানে আজ আদালত পরিচালনা করা সম্ভব নয় বিধায় কোর্টে গিয়ে মামলার পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করা হবে। সকালে ছাত্রদের অবরোধের সংবাদ পেয়ে আদালত এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর আজিমপুর ক্যাম্প চার বীর এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ নাহিদুজ্জামান খান,এর নেতৃত্বে সেনাসদস্য ও লালবাগ বিভাগের উপ- পুলিশ কমিশনার মোঃ জসিম উদ্দীনের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

আরও পড়ুন