বন বিভাগের সৃজিত বাগান বিভাগে বৃক্ষরোপনে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরষ্কার-২০১৯ এর ‘ঝ’ শ্রেণীতে পুরষ্কার পেয়েছেন কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগ (বাঘখালী রেঞ্জের কচ্ছপিয়া বিট)।
রবিবার (২৪ জুলাই) সকালে ঢাকা আগারগাঁও বন ভবনের হৈমন্তী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় বৃক্ষ মেলা-২০২২ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী শাহাব উদ্দীনের নিকট হতে পুরষ্কার ও ক্রেজ গ্রহণ করেন, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সরকার।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুর নাহার এম পি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের সচিব ড: ফারহিনা আহমেদ, বাংলাদেশ বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো: আমির হোসেন সরকারসহ সংশ্লিষ্টরা।
পুরষ্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সারওয়ার জাহানও উপস্থিত ছিলেন।
বৃক্ষরোপণে যারা বিশেষ অবদান রাখেন তাদেরকে ১৯৯৩ সাল থেকে ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার’ দেয়া হয়। বিজয়ীদের সনদপত্রের সঙ্গে প্রথম স্থান অধিকারীকে ৩০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে ২০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীকে ১৫ হাজার টাকা দেয়া হয়। এরআগে বৃক্ষরোপণ অভিযানকে টেকসই করার লক্ষ্য নিয়ে সকলকে অনুপ্রাণিত ও সম্পৃক্ত করতে ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০১৯’ এর জন্য ১৪ ব্যক্তি ও ১৬ প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত করে সরকার।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সরকার তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, পুরস্কার স্বীকৃতি দেয়। আর স্বীকৃতি সবসময় আনন্দের। পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ অভিযানকে আরও টেকসই করে যেতে হবে সে দায়িত্ব বাড়ায়। এই স্বীকৃতি শুধু আমার একার নয়, অধীনস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীরাও। তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করায় এবং বনায়ন টেকসই করেছে বলে আজ এ অর্জন। তিনি সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, আগামীতেও চেষ্টা থাকবে এ সাফল্য ধারা যাতে অব্যাহত রাখতে পারি।
প্রসংগত, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বাকখালী রেঞ্জাধীন কচ্ছপিয়া বনবিটে সৃজিত বনায়ন সফল হওয়ায় ‘ঝ’ শ্রেণীতে পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।
এরআগেও বনায়ন সৃজনে প্রধান মন্ত্রীর পুরষ্কার পান কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ।