কুতুবদিয়া কৈয়ারবিল আইডিয়াল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ

নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়া, কোচিং বাণিজ্যে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে অর্থ আদায়, পরিচালনা কমিটির মিটিং না করা, শিক্ষকদের সাথে স্বেচ্ছাচারিতা, নিন্ম পদস্থ কর্মচারিদের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের অভিযোগ আমলে না নেওয়া, নিয়মিত পাঠদান থেকে বিরত থাকার কারণে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল মারাত্মক বিপর্যয় হওয়ায় কক্সবজারের কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিল আইডিয়াল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইসহাক হায়দার সোহেলকে অবরুদ্ধ করেন ঐ বিদ্যালয়ের অভিভাবক এবং পরিচালনা কমিটির সদস্যরা৷

বুধবার (২জুলাই) সকাল ১১টায় অভিভাবকবৃন্দ ও কমিটির সদস্যরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে প্রতিবাদ জানান৷

কৈয়ারবিল আইডিয়ায়ল হাই স্কুল থেকে ২০২৩সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন মোট ৮৭জন শিক্ষার্থী তার মধ্যে কৃতকার্য হন ৪৯জন এবং ৩৮জন অকৃতকার্য হয়েছেন, নেই কোন জিপিএ-৫ এমন কি যারা পাশ করেছেন তারা খুব কম নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন বলে জানা গেছে৷

অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা প্রতিবেদককে জানান, তাদের ইংরেজী শিক্ষক না থাকায় প্রধান শিক্ষক তাদের ইংরেজী বিষয়ে পাঠদানের কথা থাকলে ও সপ্তাহে একদিন কিংবা কিছু সপ্তাহে একবার ও পাঠদান করান না৷  তাতে তাদের পড়া লেখার মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটতেছে বলে জানান৷

অভিভাবক খলিলুর রহমান জানান, প্রধান শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না, শিক্ষার্থীদের টাকা দিয়ে কোচিং করতে বাধ্য করছেন, ইংরেজির মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিজের কাছে রেখে সপ্তাহে একবারও পাঠদান করান না তিনি৷ যার ফলে শিক্ষার্থীরা দিন দিন পড়া লেখায় পিছিয়ে পড়ছে৷ এমন কি বিগত কয়েক বছরে পরিচলনা কমিটির মিটিং একবারও করেননি বলে জানান পরিচালনা কমিটির সাবেক এই সদস্য৷

বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য নুরুচছাফা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অব্যবস্থাপনার মধ্যদিয়ে এই বিদ্যায়ল পরিচালিত হচ্ছে, পরিচালনা কমিটির সাথে সমন্বয়হীনতা, প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে প্রতিষ্ঠানটির পড়া লেখার পরিবেশ দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ যার ফলে সদ্য প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে বিপর্যয় ঘটেছে৷

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক ইসহাক হায়দার সোহেল বলেন, সব অভিযোগ সত্য নয়, আমাদের সহকর্মীদের মধ্যে কেউ এসব নিয়ে অভিভাবকদের উস্কে দিচ্ছে৷ ফলাফল বিপর্যয়ের কথাটি তিনি স্বীকার করেন, পরিচালনা কমিটির সাথে বৈঠক না হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি করোনা মহামারি কথা উল্লেখ করেন৷

এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিম শরিফ বলেন, ফলাফল বিপর্যয়ের বিষয় নিয়ে অভিভাবকদের অবরোধের কথা প্রধান শিক্ষক আমাকে বিকালে অবহিত করেছেন, পরিচালনা কমিটির সাথে দ্রুত বৈঠক করে এসব বিষয় সুরাহা করার পরামর্শ দিয়েছি৷ অনিয়মের বিষয়ে আমাকে কেউ অভিযোগ করেননি, তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন