মহানবীকে নিয়ে কুরুচিপুর্ণ মন্তব্যকারীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বাঁশখালীতে মানববন্ধন

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মহানবী (সা.) ও তাঁর সাহাবীদেরকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ পোষ্ট ও কথোপকথনকে কেন্দ্র করে মো. শাহেদ বিন কাশেম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর বাহারছড়া আহলে সুন্নত ওয়াল জামা’য়াত ও বিক্ষুব্ধ মুসলিম সমাজ। এ সময় তারা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

শনিবার (২৮ জানুয়ারী) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার উত্তর বাহারছড়া থেকে শুরু হয়ে বশির উল্লাহ মিয়াজি বাজার চত্বরে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তারা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন বিক্ষুব্ধ মুসলিম জনতা। অন্যথায় তারা আরো কঠিন কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন।

মাওলানা সৈয়দুল আলম বাহারি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষুদ্ধ সমাবেশে উপস্থিত থেকে তদন্তপূর্বক দোষিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বস্থ করে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী, আনোয়ারা (সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন।

এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বশিরুল্লাহ মিয়াজি বাজারের পশ্চিম অংশের বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ডা. মাহবুব আলম, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু জাফর সহ অনেকে।

এর আগে (Md Shahed Bin kasem) নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর সাহাবীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে পোষ্ট দিলে তা স্ক্রিনশট হয়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে পুরো বাঁশখালী জুড়ে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এবং মুসলমানদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, নবী ও সাহাবীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকারী মোহাম্মদ বিন কাশেম (৩৪) বাহারছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ইলশা গ্রামের হাছিম আলী বাপের বাড়ির মৃত মো. আবুল কাশেম এর পুত্র।

এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন মহানবীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও ফেইসবুকে পোষ্ট করার অপরাধে দোষীকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান। তাকে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।’

আনোয়ারা (সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এ খবর পেয়ে আমরা বসে নেই। আমরা দ্রুত তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করছি। খুব শিগগির তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমিও একজন মুসলিম, আমার অন্তরেও আঘাত লেগেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীকে তদন্তপূর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’

সকলকে শান্তিপূর্ন অবস্থান করার আহব্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুন