মিরসরাইয়ে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে প্রাণ গেলো ব্যবসায়ীর

মিরসরাইয়ে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকারপর ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম জামাল উদ্দিন (৫৫)। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর রাত ৩ টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ চমেক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

জামাল উদ্দিন উপজেলার ৯ নং মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের উত্তর তালবাড়ীয়া এলাকার ডুবাইওয়ালা জামালের বাড়ীর আলী নেওয়াজের পুত্র।

জামালের স্বজন মোহাম্মদ বাবুল বলেন, গত ১১ অক্টোবর দুপুরে বারইয়ারহাট থেকে তার গন্তব্যস্থল সুফিয়ারোডের ওয়্যার্লেস আসার জন্য উত্তরা পরিবহণের একটি বাসে উঠেন। এসময় তার প্যান্টের পকেটে ৮০ হাজার টাকা, ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্সের বই ও দুইটি মোবাইল ছিল। তারা ওয়্যার্লেস না নামিয়ে তাকে সীতাকুন্ডের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় নামিয়ে দেয়। সেখানে সে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তার পকেটে থাকা মোবাইল দিয়ে আমাদের খবর দিলে দ্রুত আমরা গিয়ে তাকে চট্টগ্রাম রয়েল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আইসিইউতে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। সেখানে তারা কোন ওয়াশ করেন নাই। এরপর ১৪ অক্টোবর দুপুরে তিনি দুই বার রক্ত বমি করেন। রক্তগুলো কালো দেখা গেছে। তখন চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন খাওয়ারের সাথে কোন বিষাক্ত জিনিস খাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর ১৬ অক্টোবর তাকে রয়েল হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ৩ টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তবে তার সাথে থাকা ৮০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল পাওয়া যায়নি।

বাবুল আরো বলেন, জামালের ১ টি ছেলে ও ২ টি মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে সালা উদ্দিন মিরসরাই সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী, দ্বিতীয় মেয়ে সুমাইয়া তাবাচ্ছুম অষ্টম শ্রেণি ও ছোট মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।

বুধবার দুপুরে মিরসরাই ষ্টেশন মসজিদ এলাকায় জানাযার নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল আলম দিদার বলেন, জামাল উদ্দিন খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। এলাকার মানুষের সাথে তার কোনদিন দু’কথা হয়নি। তার ছেলেমেয়েগুলো অনেক ছোট। তারা আজ এতিম হয়ে গেছে।