রাউজানে নাইট গার্ডকে বেঁধে রেখে দোকান চুরি

চট্টগ্রামের রাউজানে নাইট গার্ডকে বেঁধে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ডাবুয়া ইউনিয়নের জগন্নাথহাট বাজারে এঘটনা ঘটে। বাজার কমিটি ও চুরি হওয়া দোকান মালিকরা জানান ১০/১১ জন মুখোশ লাগানো ও হাফপ্যান্ট পরিহিত চোরচক্র কয়েকটি সিএনজি অটোরিক্সা যোগে এসে বাজারে রক্ষিত ২৩টি সিসি ক্যামরার লাইন কেটে এবং ৩জন নাইট গার্ডকে বেঁধে রেখে ৫টি দোকানের তালা কেটে নগদ টাকা ও মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা পুলিশের ইমার্জেন্সি ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ এসে নাইট গার্ডদেরকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা থেকে উদ্বার করে।

বাজার কমিটির সভাপতি মেম্বার জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আমাদের সন্দেহ এরা ডাকাতি করতে এসেছিল। পুলিশ আসার খবর পাওয়ায় তারা পালিয়েছে। চোরের আঘাতে বাজারের নাইট গার্ড মমতাজ সওদাগর আহত হয়েছে। তার পরনের লুঙ্গি ছিড়ে তার মূখ বেঁধে রাখা হয়। অপর দুই পাহাড়াদার দিদার ও টুকুকেও বেঁধে টাওয়ার গলিতে ফেলে রাখা হয়। বাজারের বাসু সওদাগরের ব্যক্তিগত সিসি ক্যামরা চালু থাকায় চোর চক্ররের আংশিক দৌঁড়াদৌড়ি ক্যামরাতে রেকর্ড হয়।

চোরচক্র সিরাজ চেয়ারম্যানের মুদির দোকান, নুর মোহাম্মদের লাইব্রেরি, মামুন ট্রেডার্স, নাজিমের মুদির দোকান, সুমনের মুদির দোকানের তালা কেটে নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী বাজারের পাশের বাসিন্দা শহর থেকে ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে আসা মাওলানা সৈয়্যদ তৈয়্যবুর রহমান জানান, আমি রাত ৩টা ১০ মিনিটে বাজারে দেখতে পাই কয়েকজন মুখোশ পরিহিত লাল রঙের হাফ প্যান্টপরা লোক বাজারে অবস্থান করছে। আমাকে দেখে তারা বলে ওঠেন, “আপনি চলে যান, আমরা রাজনৈতিক সমস্যার কারণে এসেছি“।

তৈয়্যব বলেন, “তাদের দেখে আমার হাত-পা কাঁপতে থাকে। আমার পিছনে পিছনে ওরা ৩জন আমার বসতঘর পর্যন্ত গিয়ে আবার ফিরে এসে। সকালে জানতে পারি বাজারে দোকান চুরি হয়েছে“।

ডাবুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুর রহমান চৌধুরী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় চুরি হওয়া দোকানদারদের দেখতে এসে পুলিশ ডিউটির অবহেলা উল্লেখ করে বলেন, “বাজারের অল্পদূরে পুলিশ ফাঁড়ি। তারা আন্তরিকতা নিয়ে একটু দায়িত্ব পালন করলে এমন কাজ করতে পারতো না“।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, “চুরির ঘটনায় পুলিশ দ্রæত গিয়ে পাহাড়াদারদের উদ্বার করে। চোর শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে“।

আরও পড়ুন