বাঁশখালীতে আব্দুল খালেক নামে এক তেল ও মুদির দোকান ব্যবসায়ীকে পথরোধ করে দেশীয় ধারালো ও ভোতা অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে নগদ ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা এবং দুইটি এন্ড্রয়েট মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গত বুধবার সকালে উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনাস্থ ডকের পূর্ব পার্শ্বে বেড়ীবাঁধের উপর এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক, পূর্ব বড়ঘোনা ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. হেলাল উদ্দিন, নুরুল আবছার, মো. তানভীর, নুরুল আমিন প্রকাশ বাদশার নামোল্লেখ পূর্ব আরো ৫/৬জনকে অজ্ঞাতনামা করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, বাঁশখালীতে সি.আর মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, আব্দুল খালেক শেখেরখীল সরকার বাজারের তৈল ও মুদির দোকানদার। ঘটনার দিন সকালে পূর্ব বড়ঘোনা এলাকার মোস্তাক মাঝির নিকট থেকে পাওয়ানা বকেয়া ৩০ হাজার টাকা, রফিক মাঝি থেকে পাওয়ানা ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে পূর্ব থেকে উঁৎপেতে থাকা আসামীগণ দেশীয় ধারালো ও ভোতা অস্ত্র দেখিয়ে পথরোধ করে। আসামীরা অস্ত্র দেখিয়ে দ্রুত টাকা বাহির করতে দিতে বলে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামীরা লম্বা দা দিয়ে কোপ মেরে মাথার উপরিভাগে গুরুতর জখম করে। লোহার রড দিয়ে ডান হাতে হাঁড়ভাঙ্গা জখম করে। একটি দাঁত ভেঙে রক্তপাত শুরু হয়।
এ সময় আসামীরা ওই ব্যবসায়ীর একটি অ্যান্ড্রয়েট মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। কোমরে বাধা কাপড়ের থলেতে রক্ষিত ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর সাথে থাকা আব্দুল মান্নান নামে একজন তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে মান্নানকেও রক্তাক্ত জখম করে তার অ্যান্ড্রয়েট ফোনটিও জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। আসামীরা মামলা মোকদ্দমা না করার জন্য হুমকী দিয়ে আমার আরেক সাক্ষি মূসা ও আমার নিকট থেকে ভয়ভীতিতে জোরপূর্ব একশো টাকার তিনটি অলিখিত ননজুডিশিয়াল স্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে নেন আসামীরা।
পরবর্তী ঘটনাস্থল থেকে আমাকে ও সাক্ষি আব্দুল মান্নানকে লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে (আব্দুল খালেক) অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চমেক প্রেরণ করেন।
ভুক্তভোগী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নুরুল আবছার বলেন, ‘বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাঁশখালী থানার ওসি কে এজহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ প্রদান করেন।’
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’