দুর্ঘটনার ৮দিন পর মারা গেলো রাউজানের সাহেদ

সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে ৮ দিন পর মারা গেলেন সাহেদ আলম। দুই অবুঝ কন্যা শিশু জানে না তাদের বাবা আর নেই।
সকালে ঘর থেকে বের হয়ে মোটর বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন কর্মস্থলের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। পথিমধ্য বাধে বিপত্তি। কুয়াশাচ্ছন্ন চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়া বুড়ির দোকান এলাকায় অজ্ঞাত গাড়ি ধাক্কা দিলে মোটর বাইকসহ সাহেদ ছিটকে পড়ে সড়ক পেরিয়ে পাশের জমিনে। গাড়ির ধাক্কায় তার মাথার হেলমেট ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে সাহেদকে অজ্ঞান অবস্থায় সেখান থেকে উদ্বার করেন। পরিচয় পত্র সূত্রে খবর দেওয়া হয় তার কর্মস্থলের লোকজনকে। তারাসহ মিলে তাকে দ্রুত আন্দরকিল্লাহ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসকদের প্রাণপন চেষ্টার পরও এক সেকেন্ডের জন্য তার জ্ঞান ফিরছিলনা।

ডাক্তারের ভাষায় তার মাথা ফাটেনি, রক্ত ক্ষরণও হয়নি তবে হেলমেটের চাপে তার ব্রেইন ৯৯ভাগ ডেট হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তার অবুঝ দুই শিশু কন্যা এখনো জানেনা তাদের বাবা দুনিয়াতে আর বেঁচে নেই।
বাবার কি হয়েছিল তা বুঝার কিংবা জানারও বয়স এখনো তাদের হয়নি। পরিবারে চলছে শোকের মাতম। দু শিশু কন্যা না কাঁদছে, না হাসছে?

গত ১০ জানুয়ারী সকালে সাহেদ আলম রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের এয়াছিন নগর ছালেহ আহমদ তালুকদার বাড়ির নিজ বাসা থেকে এনজিও সংস্থা ইপসার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্য ঘটে নির্মম এ সড়ক দূর্ঘটনা।

সাহেদ আলম সীতাকুণ্ড উপজেলায় এনজিও সংস্থা ইফসার এরিয়া ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সেদিন অফিসের নির্দেশে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সদরে ইফসার কর্মসূচীতে যোগ দিতে বাড়ি থেকে মোটর বাইক নিয়ে সেখানে যাচ্ছিলেন। সাহেদ দুর্ঘটনার ৮দিন পর (১৮ জানুয়ারি) বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় মৃত্যু বরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৩৫বছর। মরহুম ইদ্রিছ মিয়ার ৫সন্তানের মধ্য সাহেদ সবার ছোট। সাহেদের স্ত্রী ও দু কন্যা সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে সাইদার বয়স মাত্র ৬বছর, সে জুবলী সরকারী প্রাইমারিতে পড়ে ক্লাস ওয়ানে, সানিমন ছোট মেয়ের বয়স মাত্র ৪বছর।