ক্লিফটন গ্রুফ দেশের স্বনামধন্য শতভাগ রপ্তানিমুখী একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৪ সাল থেকে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে CSR প্রোগ্রামগুলো শুরু থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি করে আসছে। প্রতিষ্ঠানের মালিকের বাড়ী মিরসরাই হওয়ার সুবাদে বেশির ভাগ CSR প্রোগ্রাম করা হয় মিরসরাইতে। শুরুর দিকে নগদ অর্থ সহায়তা করলেও প্রতিষ্ঠানের মালিক অনুধাবন করলেন অনগ্রসর মিরসরাইবাসীকে স্বাবলম্বী করে তুলতে হলে তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার কোন বিকল্প নেই, তখন থেকেই এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষাবান্ধব কর্মসূচি গ্রহন করেন।
যার ধারাবাহিকতায় প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজ, বজলুস ছোবহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, হোসনে আরা হেফজ ও এতিমখানা এবং দাতব্য চিকিৎসালয় গড়ে তোলা হয়। আজ স্বগৌরবে মিরসরাইতে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে আপন মহিমায় প্রতিষ্ঠানগুলো। এই প্রতিষ্ঠানগুলো মিরসরাইয়ের গন্ডি পেরিয়ে সারাদেশে সুনামের সাথে পরিচিত, উচ্চ শিক্ষার্থে শিক্ষা বৃত্তি দিয়ে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী আজ ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছে। মিরসরাইতে খুব কম সংখ্যক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মক্তব, মসজিদ, এতিমখানা, লাইব্রেরী, পাঠাগার, ক্লাব রয়েছে যেখানে ক্লিফটন গ্রুপের সহযোগিতার ছোঁয়া লাগেনি।
বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ত্রান বিতরন, অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের পুণরায় বাড়ী নির্মানে সহযোগিতা, শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরন, হাজার হাজার মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও অপারেশনের মাধ্যমে অন্ধের জীবনে আলো ফিরিয়ে দেওয়া, বৃদ্ধ ভাতা, পঙ্গু ভাতা, বিধবা ভাতা, গরীব মেয়ের বিয়েতে আর্থিক সহায়তা, রোগাক্রান্তদের চিকিৎসা ও অপারেশনের ব্যবস্থা করা, গরীব মেয়েদের বিয়ের সমস্থ খরচ দিয়ে বিয়ে দেওয়া সহ সকল বিপর্যয়ে মিরসরাইয়ের মানুষের পাশে নিঃস্বার্থ ভাবে থেকেছে ক্লিফটন গ্রুপ। বিগত ৪০ বছর ধরে, কখনো থেমে যায়নি, ক্লিফটন গ্রুপের কাজগুলো মানুষকে খুশি করতে নয় সৃষ্টিকর্তাকে সন্তুষ্ঠ করতেই করে থাকে। লোক দেখানো বা সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে ক্লিফটন গ্রুপ কাজ করে না, মিরসরাইয়ের আপামর জনতা ক্লিফটন গ্রুপের কাজ সম্পর্কে অবগত, কত নব্য স্বার্থবাদী সমাজসেবক এই বিশাল কাজের নিচে চাপা পড়ে পিষ্ঠ হয়েছে, কত সমালোচক লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে; এসবে ক্লিফটন গ্রুপের ভালো কাজ থেমে থাকবে না। মিরসরাইয়ের মানুষের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাবে ক্লিফটন গ্রুপ। তাছাড়া করোনাকালীন এবং অতিসম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় ক্লিফটন গ্রুপ মিরসরাইয়ের সব সমাজসেবীদের নিয়ে যেভাবে এই দুর্যোগের সময় পাশে দাঁড়িয়েছে তা অবিস্মরণীয় ।
মিরসরাই ইকোনোমিক জোন গঠন বিষয়ে সরকার যখন জমি অধিগ্রহণ করা শুরু করলো তখন মিরসরাইয়ের মানুষের স্বার্থ সংরক্ষনকল্পে গবেষণা প্রতিষ্ঠান নয়া দালান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রিসার্চ করে সরকারের কাছে মিরসরাইবাসীর স্বপক্ষে বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন ক্লিফটন গ্রুপের পরিচালক এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। মাষ্টারপ্ল্যানে মিরসরাইয়ের মানুষের স্বার্থবিরোধী অনেক পরিকল্পনা বাদ দিতে সরকারকে বাধ্য করেন। উন্নয়নের নামে মিরসরাইয়ের মাটিতে মিরসরাইবাসী যেন প্রবাসী না হয় সেটিই ছিল উনার উদ্দেশ্যে, উন্নয়ন হোক তবে সেটা মিরসরাইবাসীর স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে নয়। এই কাজগুলো করতে কেউ উনাকে বলেননি, মিরসরাইয়ের মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকে করেছেন।
মিরসরাইয়ের সকল মানুষের প্রতি ক্লিফটন গ্রুপ গভীরভাবে কৃতজ্ঞ, আপনাদের ভালোবাসায় ক্লিফটন গ্রুপ আজ এখানে।