চট্টগ্রাম বন্দর এখন যেকোন সময়ের চেয়ে আধুনিক : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের হৃদপীন্ড। এ বন্দর থেমে গেলে বাংলাদেশ থেমে যায়। গত ১৪ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর একদিনের জন্যও বন্ধ ছিলো না। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এর গর্বিত অংশীদার। পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেলসহ সকল উন্নয়ন প্রকল্পে চট্টগ্রাম বন্দরের অবদান অনেক বেশি। চট্টগ্রাম বন্দর কখনো বন্ধ হয়নি বলেই বাংলাদেশ উন্নয়নের রোলমডেল।

সোমবার (১৬ জানুয়ারী) নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম বন্দরে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ বার্থিং ও চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রীয় ভান্ডার এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বন্দরের অংশীজনদের প্রস্তাবনার সরকার মনযোগ সহকারে আমল করে। তারপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এখন মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে একটি জাহাজের পণ্য খালাসের কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব হয়। এতো দুর্যোগের মাঝেও ৩১ লক্ষ কন্টেননার হেন্ডেলিং করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। এটা বন্দরের জন্য একটি বিরাট সাফল্য। আর সরকারের যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে এ সাফল্য এসেছে। আপনাদের দাবির ফসল হচ্ছে পতেঙ্গা কন্টেননার টার্মিনাল। যা ইতঃমধ্যেই প্রায় ৯৫ শাতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এখন বাংলাদেশ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় আঞ্চলিক দেশগুলোর জন্যও বাংলাদেশ প্রস্তুত হয়েছে। বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে।

এসময় মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আর এ স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্মার্ট কর্মী হিসেবে গড়ে উঠতে অনুরোধ জানান।

চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান এর সভাপতিত্বে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার H. E. Robert chatterton Dicson সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বন্দরের উদ্বোর্তন কর্মকর্তা কর্মচারী, ইনপোর্টর’স এসোসিয়েশন এর নেত্রীবৃন্দ ও প্রিন্ট ও ইলোক্ট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথমবারের মত Common Atlas নামে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ১০ মিটার গভীরতার একটি জাহাজ প্রথমবারের মত ভিড়েছে । এটি চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতার একটি বড় মাইলফলক। এতদিন সর্বোচ্চ ১৯৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে ও ৯ দশমিক ৫ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়ছে। কিন্তু আজ থেকে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে। এর প্রতিটি জাহাজে প্রায় ৪ হাজার কন্টেইনার পরিবহন করতে পারবে। এর ফলে আগের চেয়ে প্রতিটি জাহাজে ১ হাজার অধিক কন্টেইনার পরিবহন করা সম্ভব হবে। এতে বাড়বে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং, কমবে কন্টেইনারবাহী পণ্য পরিবহন ব্যয়। এর পূর্বে মন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রীয় ভান্ডার উদ্বোধন করেন

 

আরও পড়ুন