সৃষ্টিকর্তা চট্টগ্রামকে অনন্য সাজে সাজিয়েছেন : বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেন, মাস্টার দা সূর্যসেন ও প্রীতিলতা ওয়াদেদারের হাত ধরে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল এ চট্টগ্রাম থেকে। চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়েছিল। এছাড়াও শেফালী ঘোষ, আইয়ুব বাচ্চু, শ্যাম সুন্দর বৈষ্ণব, কল্যাণী ঘোষদের স্মৃতি বিজড়িত বারো আউলিয়ার পূণ্যভূমি এ চট্টগ্রাম। তিনি বলেন পাহাড়, সাগর ও নদী পরিবেষ্ঠিত চট্টগ্রামের মতন সুন্দর শহর পৃথিবীর আর কোথাও নেই।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদ এর সুবর্ণ জয়ন্তী উপলেক্ষ আয়োজিত দিনব্যাপী কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মোঃ মাহবুব আলী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রামকে ভালবাসতেন মনেপ্রাণে। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিশ^বাসীর কাছে তুলে ধরতে। কিন্তু ১৯৭৫ সালে ঘাতকরা তাঁকে নির্মম ভাবে হত্যা করার পর সেটি করা আর সম্ভব হয়নি। বাংলাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তাবায়নের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের এ বৈপ্লবিক পরিবর্তন ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা যেন একজন পর্যটক বিমান নেমেই বুঝতে পারে সে লক্ষ্যে বিমান বন্দরগুলোর সুযোগ সুবিধা আন্তর্জাতিক মানের করতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং আমাদের পর্যটন শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে সরকার কাজ করছে। এর পাশাপাশি যদি দেশের উদ্যোক্তা শ্রেণি এগিয়ে আসে তবে আমরা পর্যটন শিল্পেও সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবো।

মোঃ মাহবুব আলী আরো বলেন, পর্যটনের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটা মাস্টারপ্লেন হাতে নিয়েছে। দেশের পর্যটন শিল্পসহ সম্ভাবনাময় সকল খাতকে সমৃদ্ধ করতে চট্টগ্রামে চলমান সকল উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। আজ বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে।

অনুষ্ঠানে হোটেল আগ্রাবাদের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এ এইচ এম হাকিম আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন, আজাদী পত্রিকার সম্পাদক এম এ মালেক। এছাড়াও চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী ও হোটেল আগ্রাবাদ এর এইচ আর ম্যানেজার সাইফুর রহমান। এসময় প্রেস ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ হোটেল আগ্রাবাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন