৩৮২ কন্টেইনার পণ্য ধ্বংস করবে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানীকৃত দীর্ঘদিন ধরে খালাস না হওয়া পচনশীল ৩৮২ কন্টেইনার পণ্য ধ্বংস করার সিন্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এ ধ্বংস কার্যক্রম চালানো হবে বলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার কর্তৃক প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে বলা হয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা স্থায়ী আদেশ অনুযায়ী গঠিত ধ্বংস কমিটির গত ২৯ আগস্টের সভার সিন্ধান্ত অনুযায়ী কনটেইনারগুলোর ধ্বংস করা হবে।
এতে ১১১টি লটে ৩৮২ কন্টেইনার (বন্দরে রেফার্ড কন্টেইনার ১৩৬টি, ড্রাই কন্টেইনার ৩২টি, বিভিন্ন অফডকে ড্রাই কন্টেইনার ২১৪টি) কন্টেইনারবাহী ধ্বংসযোগ্য/বায়োডিগ্রেডেবল (পঁচনশীল) পণ্যের চালান ধ্বংস পণ্য হালিশহর আনন্দবাজারে চসিকের ডাম্পিং জোনে ধ্বংস করা হবে। দিনে ২৫-৩০টি কনটেইনারের পণ্য ধ্বংসের পরিকল্পনা রয়েছে বলে কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে।
উক্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম-কমিশনার মো: মুসফিকুর রহিমকে আহবায়ক করে গঠিত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত একজন সহকারী পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন মনোনীত প্রতিনিধি, বিজিবি’র সহকারী পরিচালক পর্যায়ের একজন মনোনীত প্রতিনিধি, পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন মনোনীত প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রামের একজন মনোনীত প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি। এ কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে আছেন কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন।
এতে পেঁয়াজ, আদা, আপেল, ডালিম, ড্রাগন ফল, কমলা, ধনিয়া, আঙ্গুর, কালঞ্জি, হিমায়িত টিকটিকি মাছ, হাড়বিহীন মহিষের মাংস, গমের তুষ, মাছের খাদ্য, বাল্ক শস্য, লবণ, রসুন, সুর্যমুখী তেল, কালো ঘোড়া পানীয় এবং কফি জাতীয় পণ্যসমূহ ধ্বংস করা হবে।