অভিবাসী কর্মীদের অধিকার বাস্তবায়নে জনমত তৈরিতে সিগনেচার ক্যাম্পেইন

অভিবাসীর অধিকার, মর্যাদা ও ন্যায়বিচার’ শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি (বিএনডবিøউএলএ) এর উদ্যোগে “স্ট্রেংদেনড্ এন্ড ইনফরমেটিভ মাইগ্রেশন সিস্টেম্স (সিম্স)” প্রকল্পের আওতায় বিএমইটিতে আলাদা সেল প্রতিষ্ঠাসহ অভিবাসী কর্মীদের অধিকার বাস্তবায়নে জনমত তৈরিতে চট্রগ্রাম কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস প্রাঙ্গণে আজ ‘সিগনেচার ক্যাম্পেইন’ অনুষ্ঠিতহয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জনশক্তি ও কর্মস্স্থংান অফিস, চট্রগ্রাম এর উপপরিচালক মো: জহিরুল আলম মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এনজিও প্রত্যাশি এর সিমস প্রকল্প ব্যবস্থাপক বশির আহমেদ মনি, পিআইডি চট্রগ্রামের সহকারী তথ্য অফিসার জি.এম সাইফুল ইসলাম। স্বাগত বক্তৃতা করেন সিমস প্রকল্পের বিএনডবিøউএলএ’র কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি এডভোকেট ফেরদৌস নিগার।

অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন বিএনডবিøউএলএ চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান এ্যাডভোকেট দিল আফরোজ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন প্রত্যাশি প্রতিনিধি রশিদা খাতুন। অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন ওমান প্রবাসী পাপ্পু চন্দ্র পাল।

প্রধান অতিথি এ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচলে অবদান রাখার জন্য অভিবাসী কর্মীদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার অভিবাসী কর্মীদের অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে। দক্ষ হয়ে বিদেশ যাওয়া ও অভিবাসী কর্মীদের প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানে ও প্রতিকার প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস বা প্রমাণাদী সংরক্ষণের বিষয়ে তিনি গুরুত্ব প্রদান করেন। তিনি অভিবাসী কর্মীদের জন্য সরকার গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের বর্ণনা দিয়ে বলেন, সরকার প্রক্রিয়ায় দক্ষ হয়ে বিদেশ গেলে কর্মীর কোন ঝুঁকির আশংকা থাকে না। এছাড়া বিদেশে মারা যাওয়ার মতো বড় দুর্ঘটনা ঘটলে প্রাপ্য ক্ষতিপুরণ প্রাপ্তিও সহজ হয়। অভিবাসন প্রক্রিয়া হয় নিরাপদ।

পরে একজন প্রবাসীর সন্তানের সাক্ষরের মাধ্যমে সিগনেচার ক্যাম্পেইন শুরু হয়। বিএমইটির অধীনে সালিস সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা কোন সেল না থাকায় আলাদা সেল করার দাবিতে এ সিগনেচার ক্যাম্পেইন এর আয়োজন করা হয়।

পরে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের উদ্যোগে প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের মধ্যে শিক্ষা বৃত্তির চেক হস্তান্তর করা হয়। এসময় প্রত্যেককে ২৭ হাজার ৫০০ টাকা করে ১২১ জন মেধাবী প্রবাসীর সন্তানদের চেক দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন