চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, চট্টগ্রাম শহরে সাধারণ মানুষের ঘুড়ে বেড়ানোর জায়গার অভাব রয়েছে। ডিসি পার্ক ১৯৪ একর জায়গার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত। এতবড় খোলা জায়গা সেখানে নেই। তাই, জেলা প্রশাসন সুস্থ বিনোদনের উদ্দেশে এবং প্রকৃতির সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে পরিচিত করাতে এ ফুল উৎসবের আয়োজন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডস্থ ফৌজদারহাটের দক্ষিণ পাশে ডিসি পার্কে তৃতীয়বারের মতো চট্টগ্রাম ফুল উৎসব-২০২৫ আয়োজনের প্রস্তুতিকালে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন। এসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) মোঃ নোমান হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল. এ) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ সাদি উর রহিম জাদিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ শরীফ উদ্দিন, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর আলাউদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে ডিসি পার্কে শুরু হবে মাসব্যাপী ফুল উৎসব। চলবে ৪ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত। আগামী শনিবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রাম ফুল উৎসব-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোখলেস উর রহমান ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ১৩৬ প্রজাতির দেশি-বিদেশি প্রায় লক্ষাধিক ফুল দিয়ে এ ফুল উৎসবকে সাজানো হয়েছে। সুস্থ পরিবেশে মানুষ যাতে বিনোদন উপভোগ করতে পারে সেজন্য আমরা ডিসি পার্ককে নির্বাচিত করেছি। প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে কোলাহল মুক্ত পরিবেশে মানুষ যাতে কিছুটা একান্তে সময় কাটাতে পারে তাই এ ফুল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, এবারের ফুল উৎসবে বেশকিছু নতুনত্ব রয়েছে। ভাসমান ফুল বাগান থেকে শুরু করে ১২টি দোকানে গ্রামীন মেলা বসবে, যা আগে ছিল না। গতবছর কালচারাল প্রোগ্রাম ১৫ দিন হলেও এবার সেটা বাড়িয়ে ৩০দিন করা হয়েছে। বিশেষ আর্কষণ হিসেবে বই উৎসব, পিঠা উৎসব, ঘুড়ি উৎসবসহ আরো নানা ধরনের উৎসব থাকবে। শিশুদের জন্য আলাদা কিড্স জোন তৈরি করা হয়েছে এবং কেউ ফুলের চারা কিনতে চাইলে কেনার জন্য দুটা নার্সারির স্টল স্থাপন করা হবে। তারুণ্যের সমাবেশকে কেন্দ্র করে এ ফুল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ফুল উৎসবের সাথে মাসব্যাপী কালচারাল উৎসবের আয়োজন রয়েছে। স্থানীয় শিল্পীর পাশাপাশি দেশের বরেণ্য শিল্পীরা কালচারাল উৎসবে অংশগ্রহণ করবে।
চট্টগ্রাম শহর থেকে পর্যটকদের উৎসবে আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে শাটল বাস সার্ভিসের চালু করা হয়েছে। এটি টাইগার পাস থেকে পতেঙ্গা হয়ে ডিসি পার্কে দর্শণার্থীদের নিয়ে আসবে আবার একই রুট হয়ে গাড়ি টাইগার পাস ফিরে যাবে। এছাড়াও এখানে দর্শণার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত টয়লেট ও সুপেয় পানির সুব্যবস্থা করা হয়েছে। চট্টগ্রামবাসীসহ সারাদেশের মানুষকে আহŸান জানাচ্ছি এখানে এসে মাসব্যাপী এ ফুল উৎসবকে উপভোগ করার জন্য।