আড়ালে থেকেও চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ও চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট

চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানাধীন সিডিএ ১ নম্বর থেকে বিশ্ব কলোনী জুড়ে চাঁদাবাজির কারনে দিশেহারা সিএনজি অটোরিকশা চালকেরা। আড়ালে থেকেও আকবরশাহ থানার নাম ভাঙ্গিয়ে একটি চক্র চালকদের কাছ থেকে আদায় করছে চাঁদা।
শুধু চাঁদাবাজিতেই থেমে নেই তারা। প্রশাসনকে হাতে রেখে আকবরশাহসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে চলছে তাদের রমরমা মাদক ব্যাবসা।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সিন্ডিকেটের মধ্যে রয়েছেন আকবরশাহ থানার সিনিয়র সোর্স ১.মো.বাবলু(২৮) পিতা মো. রফিক (৫৬), ২.থানার আটককৃত মাদক পাচার কারী মো. সাব্বির (২৯) পিতা মো. রমজান আলী (৬০)।

নগরীর আকবরশাহসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি এলাকাজুড়ে রয়েছে তাদের চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট। তথ্য সূত্রে পাওয়া, প্রতিটি গ্রাম সিএনজির মাসিক মাসোয়ারা হিসেবে চাঁদা আদায় করছে ১হাজার পাঁচশত টাকা থেকে ২ হাজার টাকা এবং প্রতিটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা থেকে দৈনিক চাঁদা আদায় করে ৫০ টাকা প্রতি মাসে ১ হাজার পাঁচশত টাকা।

এর আগে, ১ জানুয়ারি ২০১৪ সালে সিন্ডিকেটের মূল হোতা মো. বাবলুর (২৮) রিরুদে রয়েছে মাদক মামলা। পরবর্তীতে প্রশাসনকে হাতে রেখে চালিয়ে গেছেন তাদের মাদক ও চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট।

সিএনজি চালক মো. বেলালের বক্তব্যে জানা যায়, বর্তমানে চাঁদাবাজরা এলাকায় না থাকা সত্বেও মুঠোফোনে হুমকি দিয়ে দাবি করছেন চাঁদা। শুধু তাই নয়, চাঁদা দেওয়ার বিষয়ে যদি কোন প্রশাসন কিংবা মিডিয়াতে খবর দিলে তাদের জীবননাশের হুমকিও দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জনাব গোলাম রব্বানী জানান, চাঁদাবাজদের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।