গায়েবী সরকারের প্রধান অস্ত্র গায়েবী মামলা : আবু সুফিয়ান

নিশি রাতে ভোট করে গায়েবীভাবে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ চিরস্থায়ী ক্ষমতা দখল করে রাখতে গায়েবী মামলাকে প্রধান অস্ত্র বা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। কোথাও কোনো গঠনা নাই, মিছিল নাই, সমাবেশ নাই তারপরও ওই জায়গার নামে ঘটনার কথা বলে দায়ের করা হয় মামলা। আশেপাশে কয়েকমাইল এলাকায় জনসাধারণকে জিজ্ঞেস করলেও বর্ণিত তারিখ ও সময়ে কোনো ঘটনার কথা কেউ বলতে পারছেন না, অথচ মামলা দায়ের করে পুলিশ। এসব মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে এলাকা ছাড়া করে ক্ষমতার মসনদ চিরস্থায়ীভাবে দখলে রাখার দিবাস্বপ্নে মশগুল আওয়ামী লীগকে এদেশের জনগণ ঝেটিয়ে বিদায় করবে বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সুফিয়ান।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, পটিয়া, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ ও বাঁশখালী থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা গায়েবি মামলা প্রত্যাহারে দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৬ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত ১৬ দিনে লোহাগাড়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী ও বাঁশখালী থানায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের আসামি করে পাঁচটি গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব গায়েবি মামলায় বিদেশে থাকা, হজ¦পালনরত অনেক নেতা কর্মীদের নাম দেয়া হয়েছে। ২২ জুলাই লোহাগাড়া থানায়, ২৮ জুলাই চন্দনাইশ থানায়, ১৬ জুলাই পটিয়া থানায়, ২০ জুলাই বাঁশখালী থানায় এবং ১ আগস্ট বোয়ালখালী থানায় মোট ১৬ দিনে এই পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সুফিয়ান আরও বলেন, প্রত্যেক থানায় দায়ের করা মামলায় একই ধারা ব্যবহার করে শুধুমাত্র স্থান, সময়, বাদী এবং আসামিদের নাম ব্যতীত সম্পূর্ণ মিল রেখে ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মামলায় ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনের ধারা উল্লেখ করেছে, যাতে করে মামলা কঠিন হয়। অথচ ঐ সময় ঐ এলাকায় কোন প্রকার জমায়েত, মিছিল-সমাবেশ বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এটা শুধুমাত্র আগামী নির্বাচনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানি করার জন্য করা হয়েছে। মামলাগুলোতে ঘটনা বর্ণনায় যা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক, ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট। আমরা খবর পেয়েছি, অন্যান্য থানায়ও এ ধরনের মামলা করার জন্য তালিকা তৈরি হচ্ছে। বর্তমান সরকারের ওপর জনগণের আস্থা নেই। তাই ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা বিএনপি নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে দমনপীড়ন চালাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম, সদস্য এস এম মামুন মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান, মোশারফ হোসেন, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, নাজমুল মোস্তফা আমিন, সিরাজুল ইসলাম সওদাগর, আবু মো. নিপার, মফজল আহমদ চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মন্জুর আলম তালুকদার প্রমুখ।

আরও পড়ুন