মুসলিম চৌধুরী সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়ায় শঙ্কিত অংশীজনরা

বিগত সরকরর বিশ্বস্থ আমলা তথা দুর্নীতি অপকর্মের অন্যতম সহচর সাবেক মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) ও সাবেক অর্থ সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীকে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক পিএলসির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আগামী তিন বছরের জন্য মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীকে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মুসলিম চৌধুরী বিগত সরকারের আর্থিক অনিয়ম দুর্নীতির সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।

মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী সাবেক অর্থ সচিব এবং সরকারের সাবেক প্রধান হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) ছিলেন। তিনি অর্থ বিভাগের সচিব থাকাকালে রিজার্ভ চুরি হয়। এছাড়া সিএজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় তার স্বাক্ষর ছাড়া সরকারের কোনো ধরনের তহবিল ছাড় করা সম্ভব ছিল না। অর্থাৎ শেখ হাসিনা সরকারের দুর্নীতির দায় তিনি এড়াতে পারেন না। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার উদ্যোগ নেন মুসিলম চৌধুরী। সর্বজনীন পেনশন স্কিমও তার ব্রেইন চাইল্ড বলা হয়। এরকম একজন আপাদমস্তক সুবিধাভোগীকে আবারও তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়ায় কিছুটা শঙ্কায় সংশ্লিষ্টখাতের অংশীজনরা। বিগত সরকারের বিশ^স্থ আমলা হিসেবে মুসলিম চৌধুরী ‘জনপ্রশাসন পদক ২০১৭’ লাভ করেন। মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের ফতেহ আলী চৌধুরী বাড়ির মরহুম নুরুল আলম চৌধুরী ও মরহুমা খালেদা বেগমের বড় ছেলে। মুসলিম চৌধুরীর আরেক সহোদর মোঃ মোহসিন চৌধুরী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব। ছোট ভাই মোজাহিদুল ইসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রামের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, “তিনি বিগত সরকারের সুবিধাভোগীদের অন্যতম। অর্থনৈতিক দুর্নীতিতে তার ভ‚মিকা অস্বীকার করার উপায় নেই। সে ধরণের একজনকে দেশের রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় শঙ্কা তৈরী হয়েছে আবারও কেলেঙ্কারী হওয়ার বিষয়ে“।