দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ শুভেচ্ছা
ঈদুল আজহার প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদেরকে দেশের কল্যাণে উৎসর্গ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার এক ভিডিও বার্তায় দেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদুল আজহা মানে ত্যাগের উৎসব। আসুন, ত্যাগের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিজেদেরকে উৎসর্গ করি।’
শেখ হাসিনা ভ্রাতৃত্বের বন্ধন বজায় রেখে সকলের সঙ্গে ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেও সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
প্রধানমন্ত্রী ‘সকলেই সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন, ঈদ মোবারক’ বলে তার ভিডিও বার্তা শেষ করেন।
এর আগে এক বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ঈদ মোবারক জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, হজরত ইব্রাহিম (আ.) মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রিয় বস্তুকে উৎসর্গের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, তা বিশ্ববাসীর কাছে চিরকাল অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। প্রতিবছর এ উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে সচ্ছল মুসলমানগণ কোরবানিকৃত পশুর গোশত আত্মীয়স্বজন ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে মানুষে-মানুষে সহমর্মিতা ও সাম্যের বন্ধন প্রতিষ্ঠা করেন। শান্তি সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয় ঈদুল আজহা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আল্লাহ বিপদে মানুষের ধৈর্য পরীক্ষা করেন। এ সময় সকলকে অসীম ধৈর্য নিয়ে সহনশীল ও সহানুভূতিশীল মনে একে অপরকে সাহায্য করে যেতে হবে। পাশাপাশি আমি এই মহামারিতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করার অনুরোধ জানাই। আমরা যেন ঘরে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করি এবং আল্লাহতায়ালার দরবারে বিশেষ দোয়া করি যেন এই সংক্রমণ থেকে সবাই দ্রুত মুক্তি পাই।’
ঈদুল-আজহার এ দিনে তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করেন।