প্রতি শীতের ন্যায় এবারও বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদার বাড়ার সাথেসাথে এবছর রেকর্ড পরিমানে বেড়েছে মূল্যও। এ নিয়ে টানা তিন দিনের মত বাড়ল তেলের দাম।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১.৪৮ ডলার বেড়ে ৮১.২৪ ডলারে উঠেছে। রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার কারণে বাজারে তেলের দাম বাড়ছে। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে চীন ও ভারতে রাশিয়ার তেল বিক্রি ব্যাহত হতে পারে, এই আশঙ্কায় তেলের দাম বাড়ছে বলে জানা যায়।
গত ২৭ আগস্টের পর এটাই হলো তেলের সর্বোচ্চ দাম। ব্রেন্ট ক্রুডের সঙ্গে ডব্লিউটিআই ক্রুডের দামও বেড়ে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১.৫৩ ডলার বা ২% বৃদ্ধি পেয়ে ৭৮.১০ ডলার হয়েছে। এর আগে তা ৭৮.৩৯ ডলারে ঠেকেছিল। জানুয়ারির ৮ তারিখের পর এই উভয় জাতের তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬% এর বেশি বেড়েছে।
গেছে শুক্রবার রাশিয়ার তেলে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব আছে। এবারের নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার গ্যাস কোম্পানি গাজপ্রম নেফট ও সারগাটনেফত গ্যাসও আছে; সেই সঙ্গে আছে রাশিয়ার তেল পরিবহন করা ১৮৩টি জাহাজ। মূলত তেল বিক্রি করে রাশিয়ার যুদ্ধ করার সক্ষমতা যেন হ্রাস পায়, তা নিশ্চিত করতেই বাইডেন প্রশাসন এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
আরও জানা যায়, এই নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার তেলের মূল ক্রেতা চীন ও ভারতের তেল কেনা ব্যাহত হবে। তারা হয়তো আবারও মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল কেনা বাড়াতে বাধ্য হবে। এ কারণে তাদের কেনা তেলের দাম বাড়বে, বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীরা তেমনটাই মনে করছেন।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় তেলবাহী ট্যাংকারের সংখ্যা ২ গুণ হওয়ার পর প্রভাব পড়বে রাশিয়ার তেলবাণিজ্যে। এ সকল ট্যাংকারের মধ্যে অনেক ট্যাংকার ভারত ও চীনে তেল সরবরাহ করতো। এমনকি এগুলোর মধ্যে কিছু ট্যাংকার ইরানের তেলও পরিবহন করত।
খবর – বার্তা সংস্থা রয়টার্স।